শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হতে পারবেন না এমপিরা

  16-07-2020 09:50PM

পিএনএস : হাইকোর্ট এক অভিমতে জানিয়েছেন ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাসহ বেসরকারি সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে সাংসদের সভাপতি করা সংবিধানের মূল উদ্দেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।

সাতক্ষীরার শ্যামনগর আতরজান মহিলা মহাবিদ্যালয়ের (কলেজ) গভর্নিং বডির সভাপতি পদে সাতক্ষীরা-৪ আসনের সংসদ সদস্যের মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায়ে এমন অভিমত রয়েছে।

এক রিট আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ গত বছরের ২৫ নভেম্বর ওই রায় দেন।
বৃহস্পতিবার ছয় পৃষ্ঠার পূর্নাঙ্গ রায়ের অনুলিপি হাতে পেয়েছেন বলে জানান রিট আবেদনকারীর আইনজীবী।

হাইকোর্টের এই অভিমতের ফলে বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি পদে থাকতে পারবেন না সাংসদেরা।

বিভিন্ন রায় ও আদেশ পর্যালোচনা করে পূর্নাঙ্গ রায়ে আদালত বলেছেন, ‘এটি কাঁচের মতো স্পষ্ট যে, বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, ফাজিল ও কামিল মাদ্রাসাসহ সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডিতে জাতীয় সংসদের সন্মানিত সদস্যগণ সভাপতি হিসেবে নিয়োগ/মনোনয়ন সংবিধানের মূল উদ্দেশের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। সর্বজন শ্রদ্ধেয় সংসদ সদস্যদের জাতীয় গুরুত্বপূর্ণ আইন প্রণয়নে সার্বক্ষণিক নিবেদিত থাকতে হয়। এছাড়া গভর্নিং বডির সভাপতির পদ সংসদ সদস্যদের মহান পদের সঙ্গে একেবারেই বিপরীত। সংসদ সদস্যগণ তার নির্বাচিত এলাকাসহ সমস্ত দেশের উন্নয়নে নিবেদিত, অপরদিকে গভর্নিং বডির সভাপতি শুধু ওই প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে নিবেদিত।’

রিট আবেদনকারীর আইনজীবীর তথ্যমতে, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ২০১৬ সালের ১৬ জুন এক আদেশে স্থানীয় সংসদ সদস্য এস এম জগলুল হায়দারকে শ্যামনগর উপজেলার আতরজান মহিলা কলেজের সভাপতি হিসেবে মনোনীত করে। এর বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে কলেজটির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য এস এম আফজালুল হক ২০১৭ সালে হাইকোর্টে রিট করেন। এর প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ২০১৭ সালের ১০ জানুয়ারি হাইকোর্ট রুল দিয়ে সভাপতির দায়িত্ব পালনে নিষেধাজ্ঞা দেন।

পিএনএস/এসআইআর


@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন