পায়ে হেঁটে তেঁতুলিয়া হতে টেকনাফ

  22-11-2017 12:23PM


পিএনএস ডেস্ক: দেশব্যাপী জনসচেতনতা বাড়াতে পায়ে হেঁটে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা থেকে টেকনাফ গেলেন মোহাম্মদ লোকমান নামের এক ব্যবসায়ী। ২৯ নভেম্বর দেশের সর্ব উত্তরের স্থান পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা থেকে ৩৪ দিনে হেঁটে সর্ব দক্ষিণের উপজেলা কক্সবাজারের টেকনাফে পৌছান তিনি। ১০০৪ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে গত সোমবার বেলা ১২টার দিকে টেকনাফ পৌরসভার জিরো পয়েন্টে গিয়ে তার যাত্রা শেষ করেন তিনি।

তার পৈতৃক বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারী উপজেলার ফতেয়াবাদে। বর্তমান নিবাস চট্টগ্রাম শহরের চাঁন্দগাও আবাসিক এলাকায়।

তিনি জানান, ‘আমি মনস্থির করেছি সমাজে জনসচেতনতা বাড়াতে পায়ে হেঁটে সবার কাছে ম্যাসেজ পৌছাবো। তাই কিছু স্লোগান লিখে নিয়ে গত ২৯ নভেম্বর তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা থেকে যাত্রা শুরু করেছি। পথিমধ্যে প্রায় কয়েক হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও সরকারী বেসরকারী অফিসে সচেতনতামুলক প্রচারনা চালাই। বিভিন্ন উপজেলা ইউএনও, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধানরা আমাকে উৎসাহ দেয়। আসার পথে এক দিন অসুস্থ হয়ে পড়লেও পথচলা বন্ধ করিনি।’

তার স্লোগানগুলো হলো, ‘আমরা সবাই মিলে গাছ লাগাই, পরিবেশ দূষণ থেকে দেশ বাঁচাই, শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড, আমরা সুশিক্ষায় শিক্ষিত হই, আমাদের ছেলেমেয়েদের সুশিক্ষায় শিক্ষিত করার জন্য চেষ্টা করি এবং মাদক সেবন থেকে বিরত থাকি।’ এ ছয়টি স্লোগানকে সামনে রেখে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা থেকে ৩৪ দিনে হেঁটে কক্সবাজারের টেকনাফে এসে পৌঁছান তিনি।

তিনি আরো বলেন, ‘প্রতিদিন ৩০ কিলোমিটার করে হাঁটতাম। রাতে উপজেলার ডাক বাংলো অথবা এনজিও গেষ্ট রুমে রাত যাপন করেছি। ভোরে আবার হাঁটা শুরু করতাম।’

লোকমান চট্টগ্রামে জাহাজকাটা শিল্পের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন ধরনের পণ্যের বিক্রেতা। পেশাগত কারণে তিনি চট্টগ্রামে বাস করেন। তার বাবা মৃত ফুল মিয়া ও মা সখিনা খাতুন। স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার, দুই মেয়ে ইসরাত জাহান, নুসরাত জাহান ও ছেলে একরামুল হককে নিয়ে তার সংসার।

এ প্রসঙ্গে মিরসরাই প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম বলেন, ‘উদ্যমী ও অদম্য সাহসী এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। আজকাল মানুষ নতুনত্ব ও ভিন্নতা পছন্দ করে। সেদিক থেকে তেঁতুলিয়ার বাংলাবান্ধা থেকে টেকনাফে হেঁটে আসা বাংলাদেশকে নতুন করে তুলে ধরবে।

পিএনএস/কামাল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন