যেখানে মেয়েরা অন্তর্বাস রেখে যায়!

  21-03-2018 02:04AM

পিএনএস ডেস্ক: নারীর সৌন্দর্যের অনেকটাই নির্ভর করে বক্ষের ওপর। তাই বক্ষের গড়ন নিয়ে কমবেশি সব মেয়েরাই চিন্তিত থাকে। তবে পোশাকের সঙ্গে মানিয়ে আপনাকে সাহায্য করবে আপনার অন্তর্বাস। কারণ সঠিক আন্তর্বাসই পারে আপনাকে সুন্দর দেখাতে।

মহিলাদের বেশিরভাগই অন্তর্বাস নিয়ে খুব একটা সচেতন নন। সাধারণত রোজকার লাইফে মহিলাদের পাঁচ রকমের ব্রা ব্যবহার করতে দেখা যায়। টি শার্ট ব্রা, ফুল কাপ ব্রা, ওয়্যার্ড সাপোর্ট ব্রা, প্লাঞ্জ ব্রা এবং বালকোনেট ব্রা।

মেয়ে বড় হবার সাথে সাথেই মায়েরা তাকে নিয়ে নানারকম চিন্তাভাবনা শুরু করেন। দশ বা এগারো বছর বয়স থেকে যখন তাদের বয়ঃসন্ধিকালের আরম্ভ হয়, তখন থেকেই মেয়েদের প্রায় একটা নতুন রকম যাত্রা শুরু হয়ে যায়, যে যাত্রাটা তাদের এতদিনের বেড়ে ওঠা, চারপাশের জগত থেকে প্রায় অনেকটাই আলাদা হয়ে যায়। এ সময়ে খেয়াল করে মেয়েকে ঠিক মাপের ব্রা কিনে দেয়া।

সংখ্যায় কম হলেও এমন বহু মহিলা রয়েছেন যারা অন্তর্বাস বা ব্রাকে ক্ষতিকর বলে মনে করেন। এরা মূলত স্বাধীনচেতা মনের হয়। নিজের স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ কখনওই বরদাস্ত করেন না। অফিস হোক বা বাড়ি সব জায়গাতেই তিনি রাজত্ব করতে ভালোবাসেন।

অন্তর্বাস কখনও কখনও অন্তরের বাসা হয়েও দাঁড়ায়, জানেন কি? হ্যাঁ, এমনই এক জায়গার খবর আপনাকে দেব, যেখানে নানা রংয়ের অন্তর্বাস ঝুলছে। তা দেখার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। এমনকী প্রয়োজন হলে নিজের অন্তর্বাসখানি খুলে সেই বেড়ায় ঝুলিয়েও দিচ্ছেন তারা। এখানে কেন অন্তর্বাস ঝুলিয়ে রেখে যান মহিলারা?

নিউজিল্যান্ডের সেন্ট্রাল ওটাগোয় কয়েক কিলোমটারজুড়ে একটি তারের বেড়া রয়েছে। যেটি কারড্রোনা ব্রা ফেন্স নামে পরিচিত।

কিন্তু হঠাৎ এমন অদ্ভুত ধরনের বেড়া তৈরি কারণ কী? কথিত আছে, ১৯৯৯ সালে চার মহিলা নিজেদের অন্তর্বাস খুলে ওই বেড়ায় ঝুলিয়ে দিয়েছিলেন। নিছকই নববর্ষ পালনের উল্লাসে এমনই কাজ করেছিলেন বলে জানা যায়।

কার্ড্রোনা হোটেলে নববর্ষ উদযাপন করে তারা ঠিক করেন, ব্রা খুলে অবাধ স্বাধীনতা ঘোষণা করবেন। এরপর সময় যত গড়িয়েছে ওই বেড়ায় ব্রা-এর সংখ্যা বেড়েছে।

প্রতিদিন কোনও না কোনও মহিলা নিজেদের অন্তর্বাস ঝুলিয়ে দিয়ে যান এখানে। কালক্রমে সংখ্যাটা কয়েক হাজার হয়ে দাঁড়িয়েছে এখন। এমনকী পর্যটকদের মনও কাড়তে শুরু করেছে এই জায়গাটা।

অনেকে একে দৃশ্যদূষণ বলে সমালোচনা করলেও ওই জায়গার জনপ্রিয়তায় কখনও ভাঁটা পড়েনি। অবশ্য অনেকে এটাকে মহিলাদের বিকৃতি চিন্তার বহিঃপ্রকাশ বলে মনে করেন।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন