যেভাবে ভয়ঙ্কর সুন্দরী হলেন ভুতুড়ে!

  27-07-2018 10:19AM

পিএনএস ডেস্ক : বছরখানেক আগে এক তরুণীর ছবি ঘিরে শোরগোল পড়ে যায়। অ্যাঞ্জেলিনা জোলির মতো হতে গিয়ে বিপত্তি ঘটান ইরানি তরুণী। হয়ে ওঠেন কুরূপা। ভয়ঙ্কর। যাকে দেখলে দিনের আলোতেও ছ্যাঁৎ করে ওঠে বুকের মধ্যে।

গল্পের বইয়ে ডাইনি বা প্রেতিনীদের যেরকম সব ছবি দেখা যায়, প্রায় সেই রকমই দেখতে হয়ে যান তিনি। জানা যায়, এই ভোল বদলের জন্য সব মিলিয়ে নাকি ৫০টি অস্ত্রোপচার করিয়েছেন তিনি!

বছর ঘুরতেই ‘আবার সে আসিছে ফিরিয়া’। সাহার তাবার নামের ২০ বছরের তরুণী আবার নেটিজনদের নজরে এলেন। সে সময় অনেকেই তার ছবি দেখে খারাপ সব মন্তব্য করেন। এবার সাহার সামনে আনলেন তার আসল চেহারা। সে ছবিতে তার রূপের জৌলুস দেখে তাক লেগে যেতে বাধ্য।

তরুণী জানিয়েছেন, নিছকই ইনস্টাগ্রামের ফলোয়ার বাড়াতে নিজের ছবিতে ফোটোশপ করে নিজেকে কুৎসিত দর্শন করে তোলেন তিনি। অ্যাঞ্জেলিনা জোলি হওয়ার কোনো ইচ্ছে তার ছিল না!

সাহার তাবার কাণ্ড‘ডেইলিমেল’-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, সবটাই মেক আপ আর ফোটো এডিটিংয়ের জাদু নয়। সত্যি সত্যিই কয়েকটি অস্ত্রোপচার করিয়েছিলেন সাহার।

তবে তার ফলে তিনি ভয়ঙ্কর দর্শন কুরূপা হয়ে উঠেছিলেন, তা নয়। স্রেফ ফোটো এডিটিং-এর কায়দাবাজিতে নিজের চেহারাকে বদলে সবার সামনে পেশ করেছিলেন তিনি।

সাহার তাবারের মতে, তার এই ভোল বদল আসলে শৈল্পিক এক এক্সপেরিমেন্ট। তার আসল ছবি দেখে রীতিমতো চমকে যান নেটিজেনরা। প্রশ্ন উঠছে, এমন সুন্দর চেহারাকে বিকৃত করে জনপ্রিয় হওয়ার অর্থ কী?

সাহার অবশ্য সেসব ভাবছেন না। তিনি ভাবেছেন-‘সবার উপরে ফলোয়ার সত্য’! বিষয়টি।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন