কুকুর বিক্রি করে ঋণ পরিশোধ!

  03-03-2019 05:17PM

পিএনএস ডেস্ক : সংসারে মন্দা চলছে। ঋণের ভারে জর্জরিত। কিন্তু পাওনাদার সে কথা শুনবেন কেন? শোনেননি। উত্তর-পশ্চিম জার্মানির এক শহরে ঋণ মেটাতে না পারা পরিবার থেকে তাই পাওনাদার নিজের প্রাপ্য আদায় করে নিলেন নিজের মতো করে। যা করলেন, তা নেটদুনিয়ায় ভাইরাল। বহু আলোচিত, সমালোচিত।

স্বামী, স্ত্রী, তিন সন্তান নিয়ে পাঁচজনের পরিবার। বাজার থেকে ঋণ নিয়েই দিন কাটাচ্ছিলেন তারা। ক্রমশই বাড়ছিল ঋণের বোঝা। অথচ শোধও করতে পারছিলেন না। জার্মানির মতো দেশে অর্থনৈতিক পরিস্থিতির এমন ছবিও দেখা যায়। আশ্চর্যের হলেও, এটাই বাস্তব। অন্তত উত্তর-পশ্চিম জার্মানির এই পরিবারের কাছে একেবারেই রুক্ষ বাস্তব। ধার নিয়ে দিনযাপন। ঋণের অঙ্ক বাড়তে বাড়তে পৌঁছে গিয়েছিল সাড়ে আটশো ডলার, বাংলাদেশি টাকায় যা ৭০০০ টাকার মতো। এমন সময় পাওনাদার গিয়ে হাজির। কিন্তু টাকা ফেরত দেয়ার কোনও উপায়ই জানা নেই তাদের। সেই উপায় বাতলে দিলেন পাওনাদার নিজেই, নিজের মতো করে।

প্রথমেই তিনি বাড়ির সমস্ত সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেন। যাচাই-বাছাই করে বুঝে নেন সম্পত্তির অর্থমূল্য। পাওনাদার দেখেন ওই পরিবারের সবচেয়ে দামি তাদের পোষা কুকুর। পাগ প্রজাতির একটি কুচকুচে কালো কুকুর। যা তারা উপহার পেয়েছিলেন। সেই কুকুরটিকেই অনলাইন মারফত নিলামে তোলা হয়। কুকুরটির দাম ওঠে ৭০ হাজার টাকার একটু বেশি।

ব্যস! সমস্যার চটজলদি সমাধান। কুকুর বিক্রির টাকাতেই শোধ হয়ে গেল ঋণ। পাওনাদার তো মহা খুশি। তার কথায়, ‘একেবারে বাস্তবোচিত সমাধান।’

কুকুর বিক্রি করে ঋণ শোধের এ ঘটনা ভাইরাল হতেই নানা প্রতিক্রিয়ায় ভরে উঠতে থাকে সামাজি যোগাযোগ মাধ্যমের পাতা। কুকুর বিক্রি করে ঋণ শোধের বিষয়টি নিয়ে কেউ কেউ কটাক্ষ করে বলছেন, ‘কুকুর বলেই এতটা হৃদয়হীন কাজ করা হল।’ কেউ আবার সিদ্ধান্ত সমর্থন করেছেন। তাদের কথায়, ‘কুকুরটি নাকি নতুন মালিকের কাছে ভালই আছে। কারও আবার সমালোচনা, যথেষ্ট অবস্থাপন্ন না হলে পোষ্য রাখার দরকার কী?’

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন