জারের পানি বিক্রি বন্ধে রাজধানীতে বিএসটিআইর অভিযান

  22-01-2018 05:03PM

পিএনএস ডেস্ক : মান নিয়ন্ত্রণ না করে জারের পানি বিক্রি বন্ধে সোমবার ভোর থেকে রাজধানীর পল্টন ও মতিঝিল এলাকায় অভিযান চালাচ্ছে বিএসটিআই। অভিযানে নেতৃত্ব দিচ্ছেন বিএসটিআইয়ের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নাজমা সিদ্দিকা বেগম। দুপুর বেলা ১২টা পর্যন্ত ১০টি প্রতিষ্ঠানের ৬০০ পানির জার জব্দ করার পর ধংস করা হয়। বিভিন্ন অফিসে পানির জার সরবরাহে নিয়োজিত ছয়টি ভ্যানও জব্দ করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

বিএসটিআইয়ের সহকারী পরিচালক আরাফাত হোসেন সরকার জানান, ওই ১০ প্রতিষ্ঠানের মধ্যে কেবল একটি প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইযের অনুমোদন নিয়ে ব্যবসা করছে। কিন্তু তারাও সঠিকভাবে পানি পরিশোধন করছে না।

রাজধানীর বাসাবাড়ি, অফিস-আদালতে সরবরাহ করা ৯৭ ভাগ জারের পানিতে ক্ষতিকর মাত্রায় মানুষ ও প্রাণীর মলের জীবাণু ‘কলিফর্ম’ পেয়েছেন বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিলের (বিএআরসি) একদল গবেষক। শাক-সবজিতে কীটনাশক দূষণ, বোতলজাত ও জার পানিতে বিদ্যমান খনিজ উপাদানের মাত্রা ও গুণাগুণ নির্ণয়ে গবেষণা করতে গিয়ে এমন ‘ভীতিকর’ তথ্য পাওয়ার কথা জানিয়েছেন কাউন্সিলের পুষ্টি বিভাগের পরিচালক ড. মনিরুল ইসলাম। জানা গেছে, জার পানির গবেষণায় ২৫০টি নমুনা সংগ্রহ করেন গবেষকরা। বিশেষ করে ঢাকার ফার্মগেট, কারওয়ান বাজার, এলিফ্যান্ট রোড, নিউমার্কেট, চকবাজার, সদরঘাট, কেরানীগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, মতিঝিল, বাসাবো, মালিবাগ, রামপুরা, মহাখালী, গুলশান, বনানী, উত্তরা, এয়ারপোর্ট, ধানমন্ডি, মোহাম্মদপুর, মিরপুর, গাবতলী, আমিনবাজার, আশুলিয়া ও সাভার এলাকা থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়।

গবেষণায় দেখা গেছে, সংগ্রহ করা নমুনাগুলোতে টোটাল কলিফর্মের ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ মিলিলিটার পানিতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মাত্রা পাওয়া গেছে যথাক্রমে ১৭ ও ১৬০০ এমপিএন (মোস্ট প্রবাবল নম্বর) এবং ফেকাল কলিফর্মের ক্ষেত্রে প্রতি ১০০ মিলিলিটার পানিতে সর্বনিম্ন ও সর্বোচ্চ মাত্রা ছিল যথাক্রমে ১১ ও ২৪০ এমপিএন।

এলিফ্যান্ট রোড, চকবাজার, বাসাবো, গুলশান, বনানী থেকে পানির নমুনায় উল্লেখযোগ্য মাত্রায় টোটাল কলিফর্ম ও ফেকাল কলিফর্মের উপস্থিতি পাওয়া যায়। সদরঘাট এলাকার নমুনা সবচেয়ে দূষণযুক্ত নির্দেশ করে; যেখানে সর্বোচ্চ টোটাল কলিফর্ম ও ফেকাল কলিফর্মের উপস্থিতির পরিমাণ ছিল যথাক্রমে ১৬০০ ও ২৪০ এমপিএন।

পিএনএস/জে এ /মোহন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন