প্রশাসনে পদ সৃষ্টি-বিলুপ্তিতে নতুন পদ্ধতি

  13-03-2018 06:55AM



পিএনএস ডেস্ক: প্রশাসনে পদ সৃষ্টি, বিলুপ্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি চালু করেছে সরকার। এর আগে এসব কাজ সহজ করার জন্য পরীক্ষামূলকভাবে গঠন করা কমিটিও বাতিল করা হয়েছে।

রোববার ‘মন্ত্রণালয়/বিভাগ/অধিদফতর/দফতর/সংস্থার পদ সৃষ্টি, বিলুপ্ত ইত্যাদি বিষয় সম্পর্কিত নীতি ও পদ্ধতি’ বিষয়ে পরিপত্র জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ।

পরিপত্রে বলা হয়েছে, পদ সৃজন, বিলুপ্তি ইত্যাদি ক্ষেত্রে আলাদাভাবে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের সম্মতি নিতে হবে।
প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় বা বিভাগ থেকে প্রস্তাব পাওয়ার পর জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগ প্রস্তাব পর্যালোচনা করে চেকলিস্ট অনুযায়ী কাগজপত্র বা তথ্যাদির কোনো ঘাটতি থাকলে সর্বোচ্চ ৫ দিনের মধ্যে মন্ত্রণালয় বা বিভাগকে জানাবে।
স্বয়ংসম্পূর্ণ প্রস্তাব পাওয়ার পর এই দুই মন্ত্রণালয় সর্বোচ্চ ৩০ কর্মদিবসের মধ্যে সম্মতি বা অসম্মতি জানাবে বলে পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয় বা বিভাগ অর্থ বিভাগের সম্মতি এবং বেতন স্কেল নির্ধারণের জন্য একই সঙ্গে প্রস্তাব পাঠাবে। অর্থ বিভাগের ব্যয় নিয়ন্ত্রণ বা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও বাস্তবায়ন অনুবিভাগ সমন্বিতভাবে কাজ করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে একই স্মারকে অর্থ বিভাগের সম্মতি এবং বেতন স্কেল নির্ধারণ করবে।

অর্থ সচিব ব্যয় নিয়ন্ত্রণ বা রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান ও বাস্তবায়ন অনুবিভাগের কার্যক্রম সমন্বয় করবেন।
মন্ত্রণালয় ও বিভাগকে প্রস্তাবের অনুলিপি এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও অর্থ বিভাগের সম্মতির অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে গঠিত পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট পরিবীক্ষণ কমিটিতে পাঠাতে হবে।

এ কমিটিতে সদস্য হিসেবে রয়েছেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত বা যুগ্মসচিব (সমন্বয় ও ব্যবস্থাপনা), অর্থ বিভাগের অতিরিক্ত বা যুগ্মসচিব (ব্যয় নিয়ন্ত্রণ/রাষ্ট্রায়ত্ত প্রতিষ্ঠান) ও অতিরিক্ত সচিব (বাস্তবায়ন) এবং প্রস্তাব পাঠানো প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব।

এই কমিটি প্রতি মাসে সার্বিক কাজের অগ্রগতি পর্যালোচনা করে প্রশাসনিক উন্নয়ন সংক্রান্ত সচিব কমিটিতে প্রতিবেদন উপস্থাপন করবে বলে পরিপত্রে জানানো হয়েছে।

কমিটি পদ সৃষ্টি, পদ স্থায়ীকরণ এবং সমজাতীয় কার্যক্রমের প্রস্তাব অনলাইনে পাঠানোর জন্য একটি সফটওয়্যার তৈরির ব্যবস্থা নেবে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, কমিটি প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট কোনো কর্মকর্তাকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারবে। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ কমিটিতে সাচিবিক সহায়তা দেবে।

এর আগে ২০১৭ সালের ৮ মার্চ একটি কমিটি করা হয়। এর নাম ‘পদ সৃষ্টি, পদ স্থায়ীকরণ ও জনবল নিয়োগ পদ্ধতি (রাজস্ব) প্রভৃতি সমজাতীয় কার্যক্রমকে আরও সহজতর করার লক্ষ্যে গঠিত কমিটি’।

ওই কমিটি প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ের পাঠানো পদ সৃজন, বিলুপ্তকরণ, স্থায়ীকরণ, বা পদনাম পরিবর্তন, পদবি উন্নতিকরণ ইত্যাদি সংক্রান্ত প্রস্তাব পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর সুপারিশ করে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর জন্য বলা হয়েছিল।

কমিটিকে পরীক্ষামূলকভাবে ৬ মাসের জন্য কাজ করা ও কাজের অভিজ্ঞতার আলোকে এ সংক্রান্ত পরবর্তী করণীয় সম্পর্কে সুপারিশসহ একটি প্রতিবেদন মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে দেয়ার কথা ছিল।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন