৪৯টি প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে পাল্টে যাবে কক্সবাজারের চেহারা

  21-04-2018 10:07PM

পিএনএস : কক্সবাজারে প্রধানমন্ত্রীর ১২টি অগ্রাধিকার প্রকল্পসহ মোট ৪৯টি মেগা উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ দ্রুত এগিয়ে নিতে সরকারি কর্মকর্তাসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের স্ব স্ব দায়িত্ব গুরুত্বের সাথে পালনের তাগিদ দেওয়া হয়েছে। এসব উন্নয়ন প্রকল্পের জন্য অধিগ্রহণ করা প্রায় ১৩ হাজার একর জমির ক্ষতিপূরণের টাকা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দেওয়ার ব্যাপারেও গুরুত্বারোপ করা হয়। সেই সাথে প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্প যথাক্রমে দোহাজারি-কক্সবাজার রেলপথ, মাতারবাড়ী তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্র, খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্প ও আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরসহ অন্যান্য প্রকল্পগুলোর কাজ আরো গতিশীল করারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আজ শনিবার কক্সবাজারে জেলার উন্নয়ন প্রকল্পসমূহের ভূমি অধিগ্রহণ কার্যক্রমসহ কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ ও সংশ্লিষ্ট বিষয়ক এক আলোচনা সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম বলেন, 'সবাইকে দরদি মন নিয়ে সমস্যা সমাধানে ভূমিকা রাখতে হবে। কাজ করতে হবে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে। এসব উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে দেশের প্রধান পর্যটন কেন্দ্র কক্সবাজারের চেহারাটাই সম্পূর্ণ পাল্টে যাবে।'

আলোচনা সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন মহেশখালী-কুতুবদিয়া আসনের এমপি আশেক উল্লাহ রফিক, সাতকানিয়া-লোহাগড়া আসনের এমপি, রেল সচিব মোহাম্মদ মোফাজ্জেল হোসেন, বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব এ,এম মনজুরুল আলম, ভুমি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব মোঃ জাফর উল্লাহ, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মোঃ মমিনিুর রশিদ আমিন, বেসরকারি বিমান ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব সাইফুল ইসলাম, জ্বালানী ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব জিল্লুর রহমান, বিদ্যুৎ বিভাগের যুগ্ম সচিব একে এম হুমায়ূন কবির, বেজার যুগ্ম সচিব ড. মলয় চৌধুরী, সড়ক পরিবহণের যুগ্ম সচিব ড. মোঃ কামরুল আহসান, পেট্রোবাংলার যুগ্ম সচিব মোঃ মোস্তফা কামাল ও কক্সবাজার উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (কউক) চেয়ারম্যান লেঃ কর্ণেল ফোরকান আহমদ, কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা ও সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান সহ আরো বেশ ক’জন সরকারি-বেসরকারি পদস্থ কর্মকর্তাগণ সভায় উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসক মোঃ কামাল হোসেনের সভাপতিত্বে ও অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) ও উপ সচিব কাজি মোঃ আবদুর রহমানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বলা হয়, কক্সবাজারের মোট ৪৯টি উন্নয়ন প্রকল্পে প্রায় ১৩ হাজার একর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে এ পরিমাণ জমির ক্ষতিপূরণ বাবদ দেওয়া হয়েছে মাত্র ৫৮১ কোটি ৩০ লাখ টাকা। তাও মাত্র মাতারবাড়ি তাপ বিদ্যুৎ প্রকল্প, গ্যাসলাইন প্রকল্প এবং রেল লাইন প্রকল্পে এ পরিমাণ ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। জেলা প্রশাসকের ভূমি অধিগ্রহণ শাখায় মাত্র একজন ভূমি অধিগ্রহণ কর্মকর্তা এবং একজন কানুনগো ও একজন সার্ভেয়ার থাকায় ক্ষতিপূরণের টাকা পরিশোধের কাজ স্থবির হয়ে পড়েছে।

এ প্রসঙ্গে মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, সরকার ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে জরুরি ভিত্তিতে কক্সবাজারে পর্যাপ্ত জনবল দিয়ে অধিগ্রহণ করা জমির ক্ষতিপূরণের টাকা প্রদানের ব্যবস্থা করা হবে।

সভায় আরো জানানো হয়, প্রধানমন্ত্রীর অগ্রাধিকার প্রকল্পের মধ্যে কক্সবাজারের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বিমানবন্দরের রানওয়ের ৯ হাজার ফুটের কাজ ইতিমধ্যে প্রায় শেষ হয়ে গেছে। রানওয়ের দৈর্ঘ্যে আরো এক হাজার ফুট নতুন করে কাজ করা হবে উত্তর দিকে বাঁকখালী নদ ভরাটের মাধ্যমে। সেই সাথে বিমানবন্দর সংলগ্ন আরো জমি অধিগ্রহণের প্রয়োজন হলে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ ক্ষতিগ্রস্ত প্রতিষ্ঠানগুলোকে অন্যত্রে নির্মাণ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন