পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত মুক্তামনি

  23-05-2018 05:09PM

পিএনএস, সাতক্ষীরা :সাতক্ষীরা সদর উপজেলার দক্ষিণ কামারবায়সা গ্রামে পারিবারিক কবরস্থানে দাদার কবরের পাশে চিরনিদ্রায় শায়িত করা হয়েছে মুক্তামনিকে।

বুধবার জোহরের নামাজের পর বেলা আড়াইটার দিকে দক্ষিণ কামারবায়সা জামে মসজিদের পার্শ্ববর্তী মাঠে জানাজার নামাজ শেষে তাকে দাফন করা হয়।

এর আগে দু’দফা মুক্তামনিকে গোসল করানো হয়। প্রথম দফায় গোসলের পর তার কাফনের কাপড় রক্তে ভিজে যায়। পরে আবারও তাকে গোসল করানো হয়। তার জানাজার জানাজে এলাকার শত শত মানুষ শরীক হন।

মুক্তামনির জানাজায় অংশ নেন উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু, সদর হাসপাতালের আরএমও ডা. ফরহাদ জামিলসহ স্থানীয় গ্রামবাসী।

এদিকে বুধবার সকাল ৭টা ২৮ মিনিটে নিজ বাড়িতে রক্তনালীর টিউমারে আক্রান্ত মুক্তামনি মারা যায়। এসময় তার বয়স হয়েছিলো ১২ বছর।

তার মৃত্যুর খবর পেয়ে সকালেই মুক্তামনির বাড়িতে ছুটে যান সাতক্ষীরা পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান, সিভিল সার্জন ডা. তওহীদুর রহমান, সাতক্ষীরা সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান বাবু। এসময় বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত সাংবাদিকরাও ছিলেন।

প্রসঙ্গত, দেড় বছর বয়সে মুক্তামনির ডান হাতের সমস্যা শুরু হয়। প্রথমে হাতে টিউমারের মতো হয়। ৬ বছর বয়স পর্যন্ত টিউমারটি তেমন বড় হয়নি। কিন্তু পরে তার ডান হাত ফুলে অনেকটা কোলবালিশের মতো হয়ে যায়। সে বিছানাবন্দি হয়ে পড়ে।

মুক্তামনির রোগ নিয়ে গণমাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে তুমুল আলোচনা শুরু হয়। গত ১১ জুলাই তাকে ভর্তি করা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে। ১২ আগস্ট অপারেশন করে বড় একটি টিউমার অপসারণ করা হয়।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইউনিটে টানা ছয় মাস মুক্তামনির চিকিৎসা চলে। সেখানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার চিকিৎসার দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

টানা ছয় মাসের চিকিৎসায় খানিকটা উন্নতি হওয়ায় ২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর মুক্তামনিকে এক মাসের ছুটিতে বাড়ি পাঠানো হয়। বাড়িতে যাওয়ার পর থেকে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন