সাত নবজাতকের মধ্যে বাকি রইলো তিন

  27-05-2018 11:30AM

পিএনএস ডেস্ক: রাজধানীর ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে দুই মায়ের গর্ভে জন্ম নেয়া সাত নবজাতকের মধ্যে বেঁচে আছে তিনজন।এদের মধ্যে একজন আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে । বাকি দুই নবজাতক হাসপাতাল থেকে রিলিজ পেয়ে বাসায় ফিরেছে। আর চার নবজাতক মারা গেছে।

হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সুইটি খাতুনের গর্ভের তিন নবজাতকই মারা গেছে। গত ২৪ মে সন্ধ্যায় ৭০০ গ্রাম ওজনের মেয়ে, ২৬ মে ভোর রাততে ৯০০ গ্রামের ছেলে এবং ওইদিন সকাল ৯০০ গ্রাম ওজনের মেয়ে মারা যায়।

আরেক মা সনিয়া আক্তারের গর্ভে জন্ম নেয়া চার নবজাতকের দুজন সুস্থ হয়ে ওঠায় গত বৃহস্পতিবার বাসায় ফিরে গেছে। অন্য দুজনের একজন বৃহস্পতিবার রাতে মারা যায় এবং অপরজন চিকিৎসাধীন। বাসায় ফিরে যাওয়া দুই নবজাতকের মধ্যে একটি ছেলে ও একটি মেয়ে।

সুইটি খাতুনের তিন নবজাতকের মৃত্যু প্রসঙ্গে ডা. সিরাজুল ইসলাম মেডিকেল কলেজের জনসংযোগ কর্মকর্তা সুব্রত মণ্ডল সহযোগী অধ্যাপক ডা. রোজিনা আক্তারের বরাত দিয়ে জানান, সুইটি খাতুনের গর্ভে জন্ম নেয়া নবজাতকদের বাঁচাতে সব ধরনের চেষ্টা করা হয়। তবে নবজাতকেরা অনেক বেশি প্রিমেচিউর ছিল।

তিনি জানান, সুস্থ নবজাতক জন্ম নেয়ার বয়স গর্ভ ধারণের চল্লিশ সপ্তাহ। সাধারণত ২৮ সপ্তাহ হলেও বাঁচানো যায়। দুর্ভাগ্যবশত সুইটি খাতুন মাত্র ২৬ সপ্তাহে নবজাতক প্রসব করেন।
তিনি আরও বলেন, সাধারণত ২ কেজি ৫০০ গ্রামের ওজন নিয়ে নবজাতক জন্ম নিলে ভালো বলা হয়। একটু কম হলেও নবজাতক বাঁচানো যায়।

সনিয়া আক্তারের এক নবজাতক মারা যাওয়ার কারণে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সনিয়ার চারজন নবজাতক একটু সুস্থ ছিল। তবে তাদের দুজনের রক্ত মায়ের রক্তের সঙ্গে মিল ছিল। বাকি দুজনের রক্তের মিল নেই। সনিয়ার রক্তের গ্রুপ ‘ও’ পজেটিভ । মারা যাওয়া ও হসপিটালে চিকিৎসা নিচ্ছে এ দুজনের রক্তের গ্রুপ ‘বি’ পজেটিভ। এ কারণে তাদের রক্ত ভেঙে গিয়ে সাদা হয়েছে।
এর ফলে মারা গেছে এক শিশু।

পিএনএস/আলআমীন

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন