কমলাপুরে ক্ষুব্ধ যাত্রীরা

  13-06-2018 11:20AM


পিএনএস ডেস্ক: ঈদে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে ট্রেন ভ্রমণ বেছে নিলেও সিডিউল বিপর্যয়ের কারণে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। এবারে পুরো সিডিউল ভেঙ্গে না পড়লেও কয়েকটি ট্রেনের সিডিউল বিপর্যয় ঘটেছে। এতে স্টেশনে যাত্রীরা ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে।

বুধবার (১৩ জুন) সকাল ৬টা ২০মিনিটে সুন্দরবন ট্রেনটি খুলনার উদ্দেশ্যে ছাড়ার কথা থাকলেও ৭টা ১৮মিনিটেও ট্রেন কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনেই অপেক্ষা করছিল।

সুন্দরবন ট্রেনের অ্যাটেনডেন্ট হামিদ জানান, ট্রেন খুলনা থেকে ছেড়ে আসতে দেরি করায় এখন কমলাপুরে তার প্রভাব পড়েছে। আশা করি কিছু সময়ের মধ্যেই সুন্দরবন ছেড়ে যাবে। যাত্রীদের সাময়িক অসুবিধার জন্য আমরা দুঃখিত।

এর আগে ধূমকেতু, পারাবত, সোনার বাংলা ট্রেন স্টেশন ছেড়েছে সময়মতো।

কুষ্টিয়ার যাত্রী কারী আনোয়ার ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ায় জানান, আমি সেহেরি খেয়ে কমলাপুর স্টেশনে এসেছি। নির্দিষ্ট সময়ে ট্রেন না ছাড়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। আমার বাচ্চাদের রাখতে পারছি না। তারা কান্না করছে, অথচ সময়মতো ছাড়লে তাদের নিয়ে এতো কষ্ট হতো না।

অপরযাত্রী সালেহা খাতুন জানান, বাসের নানান ভোগান্তির কথা চিন্তা করে আমরা বহু কষ্টে টিকিট কেটেছি যাতে যাত্রা সঠিক সময়ে হয়। কিন্তু ট্রেন না ছাড়ায় অপেক্ষার প্রহর গুণতে হচ্ছে। এভাবে দেরিতে ট্রেন ছাড়লে আমরা সবাই সমস্যায় পড়বো।

কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এবারে কোন সিডিউল বিপর্যয় নেই। বেশিরভাগ ট্রেনই সঠিক সময়ে ছেড়ে যাচ্ছে দুয়েকটি ট্রেনই কিছুটা বিলম্বে ছাড়ছে। যদিও আজকের সুন্দরবন ট্রেনের একটু বেশি লেট হচ্ছে বলে তারা স্বীকার করেন।

কর্মকর্তারা জানান, ঈদের এক সপ্তাহ ট্রেন চলবে বিরতিহীনভাবে। তাই কোথাও কোন কারণে দেরি হয়ে গেলে সেই সময় মেক আপ করা মুশকিল হয়ে পড়বে। এছাড়া একটি ট্রেনের বিলম্ব রাস্তায় ওই রুটের অন্য সকল ট্রেনের যাত্রা বিলম্ব করে দিতে পারে।

এদিকে পরিবারের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে শহরের মানুষ এখন গ্রামের দিকে ছুটছে। মহাসড়কে যানজট এড়াতে যাত্রার জন্য অধিকাংশই ট্রেনকে বেছে নিয়েছে। প্রতিদিনই ট্রেনযোগে ৭০ হাজার মানুষ রাজধানী ঢাকা ছাড়ছে। তবে বুধবার (১৩ জুন) ট্রেনযোগে ঢাকা ছাড়বে প্রায় এক লাখ মানুষ।

রাজধানীর কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে বুধবার ভোর থেকে যাত্রীরা আসতে শুরু করে। সকাল ৬টার আগেই স্টেশনের প্রতিটি প্লাটফর্মেই হাজার হাজার মানুষ জড়ো হতে থাকে। সকাল সাড়ে ৭টার কমলাপুরে তিল ধরার ঠাই নাই।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন