মাত্র ৪২ সেকেন্ডের টর্নেডোয় তছনছ চট্টগ্রাম বন্দর!

  14-06-2018 06:28PM

পিএনএস ডেস্ক : প্রচন্ড এক দমকা হাওয়ায় তছনছ হয়ে গেছে চট্টগ্রাম বন্দর। এমনকি বন্দরের জেটিতে বেঁধে রাখা কনটেইনারবাহী একটি জাহাজও দড়ি ছিঁড়ে কর্ণফুলী নদীর মাঝখানে চলে গেছে। আহত হয়েছেন আন্ত ২০ জন শ্রমিক। এদের মধ্যে একজনের মৃত্যু হয়েছে। আরও দুই জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।

নিহত শ্রমিকের নাম রাসেল দেব। তিনি চট্টগ্রামের পটিয়া উপজেলার ভাটিখাইন এলাকার রণজিত দেব এর পুত্র।

বৃহস্পতিবার (১৪ জুন) সকাল থেকে আকাশে ছিলো ঘুমট অবস্থা। ঘনকালো মেঘে চট্টগ্রামজুড়ে নেমে আসে সন্ধার আবহ। এরমধ্যে সকাল ৯টার দিকে আঘাত হানে প্রচন্ড শক্তিশালী টর্নেডো।

চট্টগ্রাম বন্দর পরিচালনা পরিষদের সদস্য মো. জাফর আলম এ তথ্য জানান। তিনি বলেন, টর্নেডোতে বন্দরের অভ্যন্তরের সিসিটি ইয়ার্ডে সারি সারি করে একটির ওপর একটি রাখা শতশত পণ্যভর্তি ও খালি কনটেইনার দমকা হাওয়ায় উড়ে ছিটকে পড়ে এলোমেলো হয়ে যায়। ভেঙে যায় ডক অফিসের সীমানা প্রাচীর (ফেন্সিং ওয়াল)। ৯, ১২, ১৩ ১৪ ও ১৭ নম্বর শেডের ছাউনি উড়ে গিয়ে তছনছ হয়ে পড়ে।

বন্দরের টার্মিনালের ব্যবস্থাপক গোলাম মো. সারওয়ারুল ইসলাম জানান, টর্নেডোটি ছিল বন্দর কেন্দ্রিক। এটি প্রচন্ড বেগে আঘাত হানে বন্দরের সিসিটি ইয়ার্ডে। মাত্র ৪০-৪২ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল টর্নেডোর আঘাত। এ সময় পণ্যভর্তি ও খালি শতশত কনটেইনার শেড থেকে উড়ে গিয়ে এলোমেলো হয়ে যায়। কিছু শেডও ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এছাড়া জেটিতে অবস্থানরত একটি কনটেইনারবাহী জাহাজ এমভি ওইএল স্ট্রেইটস দড়ি ছিঁড়ে কর্ণফুলী নদীর মাঝখানে চলে যায়। জাহাজটিতে বোঝাই করা শত শত কন্টোইনারের সারি ভেঙে পড়ে। এরমধ্যে অনেকগুলো কনটেইনার কর্নফুলী নদীর পানিতে পড়েছে বলে সন্দেহ করা হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, টাগ বোটের সহায়তায় জাহাজটি পুনরায় জেটিতে ফিরিয়ে আনার কাজ চলছে। শেডে উড়ে যাওয়া কনটেইনারগুলো আবার আগের জায়গায় রাখার কাজ শুরু হয়েছে। শেডে আহত শ্রমিকদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে।

পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়াবিদ মো. ফরিদ মিয়া জানান, চট্টগ্রামে ভারী বর্ষণের পূর্বাভাস ছিল। সকল নদীবন্দর সমূহে ৩ নম্বর সতর্কতা বহাল ছিল। কিন্তু ভারী বর্ষণের বদলে থেমে থেকে টিপ টিপ বৃষ্টি হচ্ছিল। তবে মানুষের মনে ভয় জাগানোর মতো ঘনকালো মেঘ জমেছিলো আকাশে। এরমধ্যে চট্টগ্রাম বন্দরে আঘাত হানল টর্নেডো। এটি ছিল শুধুমাত্র চট্টগ্রাম বন্দর কেন্দ্রীক। এর আশপাশের কোথাও কোন দমকা হাওয়া পর্যন্ত হয়নি।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন