দেশের মানুষের ভালোবাসাই আমাকে নিয়ে এসেছে : প্রধানমন্ত্রী

  15-07-2018 03:59PM

পিএনএস ডেস্ক : জাতির জনক বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পরবর্তী প্রেক্ষাপট তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, পচাত্তরের কালো রাতে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমি ও আমার ছোট বোন দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। রোববার (১৫ জুলাই) গণভবনে এসএসএফ ৩২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে এ কথা বলেন তিনি।

পচাত্তর পরবর্তী সরকার আমাকে দেশে আসতে দেয়নি। আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়েই দেশে এসেছি। দেশের মানুষের ভালোবাসাই আমাকে নিয়ে এসেছে। স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের ৩২ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এসব কথা বলেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ১০ বছরেই বাংলাদেশ হতো উন্নত দেশ। কিন্তু তাকে বাঁচতে দেওয়া হলো না। জাতির জনকের শাহাদাতের পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় ছিল তারা বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের দেশ-জাতি হিসেবে পরিচিত করতে চেয়েছিল।

শেখ হাসিনা বলেন, জীবনে কিছুই চাই নি। চেয়েছি শুধু দেশের মানুষের ভাগ্যেন্নয়ন। বঙ্গবন্ধু যে দেশটি আমাদের দিয়ে গেছেন সেদেশের মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে চেয়েছি। সবাই যেন সুখ-শান্তিতে থাকতে পারে সেটি নিশ্চিত করতে চেয়েছি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আজকে দেশের সর্বত্র উন্নয়ন চোখে পড়ছে। তৃণমূলে উন্নয়নে ছোঁয়া নিশ্চিত করতেই আমরা কাজ করছি। সবাই যেন উন্নয়নের সুবিধা ভোগ করতে পারে সেদিকেই আমাদের দৃষ্টি।

শেখ হাসিনা বলেন, নিজেদের নিরাপত্তার পাশাপাশি যারা আমাকে নিরাপত্তা দেয়, তাদের নিয়ে আমি চিন্তিত। যারা দায়িত্বরত তাদের নিরাপত্তা দেয়া আমার কাছে চিন্তার বিষয়।

এটাই হচ্ছে বাস্তবতা। যেহেতু যুগের পরিবর্তন হয়েছে, তাই এর সঙ্গে তাল মিলিয়ে নতুন এবং আধুনিক সরঞ্জামাদি প্রয়োগ করে নিরাপত্তাবেষ্টনি আরও সুরক্ষিত করা হচ্ছে। শুধু যার নিরাপত্তা দেয়া হচ্ছে তার নয় বরং যারা নিরাপত্তা দিচ্ছে তাদের বিষয়টা চিন্তায় থাকে।

তিনি আরও বলেন, সৃষ্টির শুরু থেকে এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) দক্ষতার সাথে কাজ করে যাচ্ছে। এ বাহিনীকে আরও আধুনিক করা হচ্ছে। যেহেতু বিশ্ব এগিয়ে যাচ্ছে, তার সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদেরও এগিয়ে যেতে হবে।

শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের দায়িত্ব অনেক বেশি কারণ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এই দেশ স্বাধীন করেছেন। তার নেতৃত্বে আমরা স্বাধীনতা অর্জন করেছি। স্বাধীন এই দেশকে আমাদের উন্নত ও সমৃদ্ধ করতে হবে। সেদিকে লক্ষ্য রেখেই একটি মর্যাদাপূর্ণ দেশ এবং জাতি হিসেবে এই দেশকে প্রতিষ্ঠা করতে সরকার বদ্ধপরিকর।

তিনি বলেন, জনগণ ভোট দিলে ফের ক্ষমতায় আসবে আওয়ামী লীগ। পঁচাত্তরের কালরাতে জাতির জনককে সপরিবারে হত্যা করা হয়। আমি ও আমার ছোট বোন দেশের বাইরে থাকায় প্রাণে বেঁচে যাই। পঁচাত্তর পরবর্তী সরকার আমাকে দেশে আসতে দেয়নি। আমি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে দেশে এসেছি। দেশের মানুষের ভালোবাসাই আমাকে নিয়ে এসেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ১০ বছরেই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হতো। কিন্তু তাকে বাঁচতে দেয়া হলো না। জাতির জনকের শাহাদাতের পরবর্তীতে যারা ক্ষমতায় ছিল, তারা বাংলাদেশকে ভিক্ষুকের জাতি হিসেবে পরিচিত করতে চেয়েছিল।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে এসএসএফের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ তিন বাহিনীর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রধানমন্ত্রী তার বক্তৃতায় এসএএফের দায়িত্বশীল ভূমিকার ভুয়সী প্রশংসা করেন। সেই সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে নিরাপত্তা রক্ষার কড়াকড়িতে যেন তাঁকে (প্রধানমন্ত্রী) জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে না ফেলেন সেদিকেও সজাগ থাকার আহবান জানান।

পিএনএস : জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন