মানসিক স্বাস্থ্য অধিকার আইন-২০১৮ অনুমোদন

  16-07-2018 03:37PM

পিএনএস ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রীর শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভার বৈঠকে মানসিক স্বাস্থ্য অধিকার আইন-২০১৮’র খসড়াটি চূড়ান্ত অনুমোদন পেয়েছে।

এ আইনে মানসিক রোগীর সঙ্গে খারাপ আচরণকে ফৌজদারি অপরাধ হিসেবে বিবেচিত হবে বলে উল্লেখ রয়েছে। এ ধরনের অপরাধের বিচারে প্রতিটি জেলায় একটি করে মানসিক স্বাস্থ্য আদালত প্রতিষ্ঠা করবে সরকার।

সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে তার কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকে এ অনুমোদন দেয়া হয়।

প্রস্তাবিত আইনে বলা হয়েছে, মানসিকভাবে অসুস্থ ব্যক্তিকে অপরাধের কাজে ব্যবহার করলে প্ররোচনাকারী পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা দুই বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

পাশাপাশি সরকারি অনুমোদন ছাড়া মানসিক হাসপাতাল চালালে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা তিন বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া হবে।

১৯১২ সালে প্রণীত ‘দ্য লুন্সি অ্যাক্টকে হালনাগাদ করে নতুনভাবে মানসিক স্বাস্থ্য আইন করা হচ্ছে। প্রস্তাবিত আইনে মোট ৭১টি ধারা রয়েছে। আইনে মানসিক স্বাস্থ্য রিভিউ কমিটিও গঠন করার প্রস্তাব করা হয়েছে। দেশের সব মানসিক হাসপাতাল চলবে প্রস্তাবিত আইনে।

এতে বেসরকারি মানসিক হাসপাতাল খোলার লাইসেন্স দেয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনে এসব হাসপাতাল তল্লাশি করার বিধান রাখা হয়েছে। আইনটি কার্যকরের ৯০ দিনের মধ্যে যে মানসিক হাসপাতালগুলো আছে সেগুলোকে লাইসেন্স নিতে হবে। এই আইন লঙ্ঘন করলে শাস্তি পেতে হবে।

কোনো ব্যক্তি বা কোম্পানি লাইসেন্সবিহীন মানসিক হাসপাতাল চালালে সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা তিন বছরের কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবে। একই অপরাধ আবার করলে সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা জরিমানা বা পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড বা উভয় দণ্ড দেয়া হবে।

মানসিক রোগে আক্রান্ত নন, কোনো ব্যক্তিকে মানসিক রোগী বানিয়ে মিথ্যা সনদ দিলে চিকিৎসকের এক বছর সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত করা যাবে।

উদ্দেশ্যমূলকভাবে কাউকে মানসিক হাসপাতাল কিংবা সেবালয়ে আটক রাখলে অপরাধী এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড অথবা পাঁচ লাখ টাকা অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন