৮০.৩ শতাংশ শিক্ষার্থীর ১৯ শতাংশ সংবাদ গ্রহণ করে অনলাইন থেকে

  17-07-2018 06:44AM

পিএনএস ডেস্ক: শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৮০.৩ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী ইন্টারনেটসহ মোবাইল ফোন ব্যবহার করে। যার মধ্যে ১৯ শতাংশ শিক্ষার্থী অনলাইন পোর্টালগুলো থেকে সংবাদ গ্রহণ করে।

সোমবার রাজধানীর বিশ্ব সাহিত্য কেন্দ্রের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত এক গোলটেবিল বৈঠকে এ তথ্য জানায় সাউথ এশিয়া সেন্টার ফর মিডিয়া ইন ডেভেলপমেন্ট (সাকমিড)।

ঢাকা মহানগরী ও টঙ্গীর ১৬টি বিদ্যালয়ের ওপর জরিপ করে এ তথ্য জানায় সংস্থাটি। মহানগরী ও টঙ্গীর ১৬টি বিদ্যালয়ের ৫০০ জন ছাত্রছাত্রীর ওপর জরিপটি পরিচালিত হয়।

সংস্থাটির দেয়ার তথ্য অনুযায়ী, তাদের সংবাদ গ্রহণ করার মাধ্যমগুলোর মধ্যে ফেসবুক ৩২.৩ শতাংশ, ইউটিউব ২২.৬ শতাংশ, সংবাদপত্র ৩৫.৪ শতাংশ, টেলিভিশন ৪৯.৫ শতাংশ, রেডিও ৬.৪ শতাংশ, অনলাইন পোর্টাল ১৯ শতাংশ এবং অন্যের মুখ থেকে শোনা ৩৮.৭ শতাংশ।

ঢাকা মহানগরীর মাধ্যমিক বিদ্যালয় পর্যায়ের ছাত্রছাত্রীদের গণমাধ্যম স্বাক্ষরতা যাচাই জরিপে প্রাপ্ত ফলাফল উপস্থাপন উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

সরকারের অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই) ও নেদারল্যান্ড ভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা ফ্রি প্রেস আনলিমিটেডের সহায়তায় বৈঠকটি আয়োজিত হয়।

জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, শতকরা ৬৫ ভাগ শিক্ষার্থীর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আকাউন্ট রয়েছে। তাদের মধ্যে ৭২ ভাগ শিক্ষার্থীর ফেসবুক এবং ৪৭.৫ ভাগ শিক্ষার্থীর ইউটিউব অ্যাকাউন্ট রয়েছে।

গোলটেবিলে বলা হয়, গণমাধ্যমে শিক্ষার্থীদের এই অবাধ বিচরণকে কাজে লাগিয়ে তাদের সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার দায়িত্ব আমাদের সকলের। এ লক্ষ্যে সরকার, গণমাধ্যম, শিক্ষক ও অভিভাবকদের উদ্যোগী ভূমিকা নিতে হবে।
সাকমিডের ডেপুটি ডিরেক্টর সৈয়দ কামরুল হাসান স্বাগত বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সাকমিডের প্রোগ্রাম কো-অর্ডিনেটর আফিয়া পিনা এবং গবেষণার ফলাফল উপস্থাপন করেন ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশ (ইউল্যাব)-এর সহযোগী প্রফেসর ড. সরকার বারবাক কামাল।

অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি প্রফেসর ড. মো: আব্দুল মান্নান বলেন, শিক্ষার্থীদের জীবনকে ভালোবাসাতে শেখাতে হবে এবং তাদের সুবিবেচনা বোধকে জাগাতে হবে। তথ্য নিতে গিয়ে যাতে অতথ্য তাদের মধ্যে প্রবেশ না করে সে ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।

বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা সাকমিডের বোর্ড সদস্য নজর-ই-জিলানীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন ইউল্যাবের মিডিয়া স্টাডিজ অ্যান্ড জার্নালিজম বিভাগের প্রধান ড. জুড উইলিয়াম হেনিলো, জাতীয় কারিকুলাম ও টেক্সট বুক বোর্ডের সদস্য (প্রাথমিক) প্রফেসর এ কে এম রেজাউল হাসান, এটুআই প্রোগ্রামের এডুকেশনাল টেকনোলোজি এক্সপার্ট মো. রফিকুল ইসলাম সুজন, ইউনেস্কোর এডুকেশন বিভাগের প্রোগ্রাম অফিসার শহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষণা বিভাগের অধ্যাপক মনিনুর রশিদ, ঢাকা সাব-এডিটরস কাউন্সিলের সভাপতি কে এম শহীদুল হক, ব্র্যাক কর্মকর্তা মোফাকখারুল ইসলাম প্রমুখ।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন