মিরপুরে পাকিস্তান আমলের গুপ্তধন উদ্ধার অভিযান স্থগিত

  21-07-2018 06:57PM

পিএনএস ডেস্ক : পাকিস্তান আমলের গুপ্তধন রয়েছে এমন খবরের ভিত্তিতে রাজধানীর মিরপুরের ১০ নম্বর সেকশনের বক্ল সি’র একটি বাড়িতে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। গুপ্তধন খোঁজার খোঁড়াখুঁড়ি অভিযান আজকের মতো স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ।

শনিবার (২১ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু হয়ে অভিযান বিকেল সাড়ে ৩টায় স্থগিত করা হয়। ৫ঘণ্টা ব্যাপী গুপ্তধনের খোঁজে খোঁড়াখুঁড়ি করে সাড়ে ৪ ফুটের মতো খোঁড়া হয়।

অভিযান স্থগিত করে ঢাকা জেলার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুজ্জামান বলেন, ‘সকাল সাড়ে ১০টা থেকে শুরু করে আজ প্রায় সাড়ে চার ফুট খনন কাজ শেষ হয়েছে। বাড়ির ভিত্তিপ্রস্তর দুর্বল হওয়ায় আরও খনন করলে বাড়িটি ডেবে যেতে পারে তাই আজকের মতো খোঁড়াখুঁড়ি স্থগিত করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এ সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ খুঁজে তাদের পরামর্শ নিয়ে আবার কার্যক্রম শুরু করতে চাই। যদি বিশেষজ্ঞ আগামীকাল রবিবারের (২১ জুলাই) মধ্যে পাওয়া যায়, তবে কালই কর্যক্রম শুরু করবো। ততক্ষণ পর্যন্ত বাড়িটি পুলিশ হেফাজতে থাকবে।’ রবিবার কখন থেকে এ কাজ শুরু করা হবে তা নিশ্চিত করেননি ঢাকা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আনোয়ারুজ্জামান।

মিরপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো: দাদন ফকির জানান, গত ১০ তারিখে জনৈক আবু তৈয়ব থানায় এসে একটি জিডি করেন। তিনি জিডিতে উল্লেখ করেন তার নিকট আত্মীয়রা এই বাড়িতে বসবাস করতেন। কিন্তু তারা যখন পাকিস্তান চলে যায় তখন তারা এই বাড়িতে কিছু স্বর্ণালঙ্কার রেখে যায়। এই জিডির প্রেক্ষিতে নিরাপত্তার জন্য আমরা পুলিশ মোতায়েন করি।

তিনি বলেন, ‘বাড়িটি বেশ পুরাতন, তাই বেশি খনন করলে ঝুঁকি রয়েছে। এ জন্য নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আজকের মতো খনন কাজ স্থগিত রেখেছেন। তবে বাড়িটিতে ৩০ জন পুলিশি পাহাড়া অব্যাহত থাকবে।’

এদিকে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক খননকাজে জড়িত একজন জানান, এখানে গুপ্তধন পাওয়া যেতে পারে। কারণ কিছুদূর খুঁড়তেই আমরা পোড়ামাটি দেখতে পেয়েছি। তবে এখনো কিছু নিশ্চিত না আমি।

খনন কাজ দেখতে আসা স্থানীয় মরজিনা বেগম নামের এক নারী বলেন, ‘পাকিস্তান আমলের সোনা আছে নাকি শুনেছি এই বাড়িতে, তাই একবার দেখার জন্য এসেছি।’

জানা গেছে, গত ১৪ জুলাই বাড়িটির মালিক দাবিদার মনিরুল আলম মিরপুর থানায় একটি জিডি করেন। জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, তার বাসার মাটির নিচে গুপ্তধন (প্রচুর স্বর্ণালঙ্কার) রয়েছে বলে এলাকার লোকজনের মধ্যে জনশ্রুতি রয়েছে। এ কারণে বাড়িটির সামনে প্রতিদিন লোকজন ভিড় করছে। যেকোনো সময় অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে। বাড়িটি দুই কাঠা জমির ওপর নির্মিত।

পরে জিডির কথা উল্লেখ করে পুলিশের পক্ষ থেকে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও প্রত্নতত্ত্ব অধিদফতরকে চিঠি দেয়া হয়। সেখানে বলা হয়েছে, বিষয়টি স্পর্শকাতর। তাই এ ঘটনার সত্যতা যাচাই ও এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে একজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে বাড়িটি খনন করা প্রয়োজন।


পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন