তাবলিগ জামাতের দুপক্ষের সঙ্গে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

  01-12-2018 09:17PM

পিএনএস ডেস্ক : বিশ্ব ইজতেমায় আধিপত্য নিয়ে বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে তাবলিগ জামাতের দুপক্ষকে নিয়ে বৈঠকে বসেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল। আজ শনিবার বিকেলে সচিবালয়ে বৈঠকটি শুরু হয়।

বৈঠকে উপস্থিত আছেন দিল্লি মারকাজের মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভীপন্থী বাংলাদেশে তাবলিগের শুরা সদস্য সৈয়দ ওয়াসিফুল ইসলাম এবং কওমিপন্থী মাওলানা যোবায়েরের পক্ষ থেকে তাবলিগের উপদেষ্টা মাওলানা আশরাফ আলী ও আবদুল কুদ্দুসসহ অন্যান্য নেতারা।

এছাড়া পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী ও র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) মহাপরিচালক বেনজীর আহমেদসহ বৈঠকে উপস্থিত আছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়াসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ।

আজ শনিবার ভোরে তাবলিগ-জামাতের এই সংঘর্ষে নিহত হন ইসমাইল মণ্ডল (৬৫) নামের এক ব্যক্তি। মুন্সিগঞ্জ থেকে সকালে ছেলে জাহিদ হাসানের সঙ্গে তিনি টঙ্গী এসে ভয়াবহ সংঘর্ষে পড়ে নিহত হন তিনি। ইজতেমা ময়দানের ১ নম্বর প্রবেশ ফটকে দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষে আহত হন অন্তত ১০০জন।

জানা গেছে, ভারতের মাওলানা ইলিয়াছ কান্ধলভির (রহ.) হাত ধরে তাবলিগের সূচনা। এক পর্যায়ে বিশ্ব তাবলিগ জামাতের আমির হন তার পৌত্র মাওলানা সাদ। গত বিশ্ব ইজতেমার আগে সাদের একটি মন্তব্যের কারণে মাওলানা যোবায়েরেপন্থীদের সঙ্গে বিরোধ শুরু হয়। এর জের ধরে তাকে সেই ইজতেমায় অংশ নিতে দেওয়া হয়নি।

পরে মাওলানা সাদের সঙ্গে দুপক্ষের বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, এ বছর ৩০ নভেম্বর থেকে চারদিন সাদের অনুসারীরা এবং ৭ ডিসেম্বর থেকে পরের চারদিন মাওলানা যোবায়েরের অনুসারীরা জোড় ইজতেমায় অংশ নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সপ্তাহখানেক ধরেই মাওলানা যোবায়েরের অনুসারীরা মাঠ দখল করে রাখে। সেই মাঠে আজ সাদের অনুসারীরা প্রবেশ করতে চাইলেই বেধে যায় সংঘর্ষ। পরে পুলিশ গিয়ে অনেক চেষ্টার পর পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। সেখানে এখন পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।

সমঝোতা হওয়ার পরও কেন মাঠ দখলে রাখা হয়েছিল, কিংবা মাওলানা সাদের অনুসারীদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি-এই প্রশ্ন ছিল মাওলানা যোবায়েরের অনুসারীদের কাছে।

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা এবং ৩০ নভেম্বর থেকে মাওলানা সাদের অনুসারীদের কর্মসূচী থাকার পরও মাওলানা যোবায়েরের অনুসারীদের মাঠে জড়ো হতে দেওয়া হলো কেন-এমন প্রশ্নের সঠিক ব্যাখ্যা পাওয়া যায়নি সংশ্লিষ্টদের কাছে।

এদিকে নির্বাচনের আগে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করে ইজতেমা আয়োজন বন্ধ রাখতে গাজীপুরের জেলা প্রশাসক, মহানগর পুলিশ কমিশনার এবং পুলিশ সুপারকে চিঠি দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল



@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন