সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যাকাণ্ডের ফের তদন্ত ও বিচার দাবি

  15-01-2019 04:24PM

পিএনএস ডেস্ক : খুলনায় সাংবাদিক মানিক সাহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় ফের তদন্ত ও নতুন করে বিচারের দাবি জানিয়েছেন তার সহকর্মী, বন্ধু ও সাংবাদিকরা।

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সংক্ষুব্ধ সাংবাদিক সমাজের ব্যানারে এক মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়।

মরণোত্তর একুশে পদক পাওয়া এ সাংবাদিককে হত্যার ১৫ বছর পূর্ণ হয়েছে আজ। এ উপলক্ষে আয়োজিত মানববন্ধনে ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজ) সাবেক সভাপতি মনজুরুল আহসান বুলবুল বলেন, মানিক সাহার পর খুলনায় আরেক সাংবাদিককে হত্যা করা হয়। তখন খুলনার সাংবাদিকরা রাজপথে বসে কলম ভেঙে বলেছিলেন- বিচার পাই না, তাই বিচার চাই না।

‘কিন্তু আমরা বলব- বিচার চাই। মানিক সাহার যে বিচার হয়েছিল তা তার পরিবার গ্রহণ করেনি, তার সহকর্মীরা গ্রহণ করেনি, আমরা সাংবাদিকরাও গ্রহণ করিনি। আমরা তার হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি পুনঃতদন্ত ও বিচার চাই।’

এ নির্মম হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন সিপিবি সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম। তিনি বলেন, মানিক সাহাকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে। বোমা মেরে তার শরীর থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। তবে তার মাথা বিচ্ছিন্ন করলেও তার আদর্শ বিচ্ছিন্ন করা যায় না।

‘দেশের সব তরুণ ও সাংবাদিকদের কাছে আমার আহ্বান- আসুন আমরা মানিক সাহার মতো একাগ্রতা দেখাই। আমি মানিক সাহা হত্যার বিচার দাবি করছি।’

বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল২৪-এর হেড অব নিউজ রাহুল রাহা বলেন, মানিক সাহা বাংলাদেশে প্রথম জঙ্গিবাদ নিয়ে রিপোর্ট করেছিলেন। বাংলাদেশের মানুষকে বাংলা ভাই চিনিয়েছেন। জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে, ভূমিহীন ও বাংলাদেশের মানুষের পক্ষে অবস্থান নেয়ায় তিনি হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।

বিএফইউজের কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য শেখ মামুনুর রশিদ বলেন, আমরা সাগর-রুনি হত্যার বিচার পাইনি। জানি না মানিক সাহা হত্যার বিচার পাব কিনা। তবু বিচারের আগ পর্যন্ত দাবি জানিয়েই যাব।

২০০৪ সালের ১৫ জানুয়ারি খুলনা প্রেসক্লাবের কাছে ছোট মির্জাপুরের রাস্তায় বোমা হামলায় নিহত হন অকুতোভয় সাংবাদিক মানিক সাহা।

হত্যাকাণ্ডে শিকার হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি দৈনিক সংবাদ ও ইংরেজি দৈনিক নিউএজের খুলনার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক, বিবিসি বাংলার খণ্ডকালীন সংবাদদাতা এবং অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের খুলনা চ্যাপ্টারের সভাপতি ছিলেন। ২০০৯ সালে মরণোত্তর একুশে পদকে ভূষিত হন মানিক সাহা।

খুলনা সদর থানার এসআই রণজিৎ কুমার দাস হত্যাকাণ্ডের দুদিন পর হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে দুটি মামলা করেন।

২০০৪ সালের ১০ জুন ১০ জনকে আসামি করে হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। পরে আদালতের নির্দেশে পুলিশ অধিকতর তদন্ত করে।

২০০৭ সালের ২ ডিসেম্বর সম্পূরক অভিযোগপত্রে আসামির তালিকায় আরও একজনের নাম যোগ করা হয়।

ওই ঘটনার এক যুগ পর ২০১৬ সালে আদালত ৯ আসামির যাবজ্জীবন সাজা ও দুজনকে খালাস দেন।

তবে পরিবারের পক্ষ থেকে এ রায় প্রত্যাখ্যান করা হয়।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন