ইপিজেড শ্রম অধ্যাদেশকে আইনে রূপ দিতে সংসদে বিল

  12-02-2019 01:27AM

পিএনএস ডেস্ক: ইপিজেডস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রপতি কর্তৃক জারিকৃত ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম অধ্যাদেশ-২০১৯’ কে আইনে রূপ দিতে ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৯’ নামে একটি বিল সংসদে উত্থাপন করা হয়েছে। সোমবার সংসদ কার্যে প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক এ বিল উত্থাপন করেন।

বিলটি উত্থাপনের আগে জাতীয় পার্টির ফখরুল ইমাম আপত্তি জানালে তা কণ্ঠভোটে নাকচ হয়ে যায়। ইপিজেড শ্রম আইনের মতো একই রকমের একশ’র বেশি আইন এবং অধ্যাদেশ আছে মন্তব্য করে তিনি ‘শ্রম আইন-২০০৬’সহ বেশ কয়েকটি আইন উল্লেখ করে বলেন, আইনটির কোনো প্রয়োজন নেই।

তিনি আরও বলেন, এ ধরনের আইনের কোনো সুফল পাওয়া যাবে না। আইনের বিষয়গুলো বিদ্যমান আইনেই আছে। অথচ প্রধানমন্ত্রী কার্যালয়ের পক্ষে যে মন্ত্রী বিলটি উত্থাপন করছেন তিনি হয়তো এটা জানেন না। একই রকম বিষয়ে বিভিন্ন আইনের কারণে একেক রকম শাস্তি হয়।


বিল উত্থাপনের প্রস্তাবকারী মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক তার বক্তব্যে বলেন, সংসদ সদস্য নিজেই বলেছেন যে, অনেকগুলো অধ্যাদেশ আছে। বিলটি আগে সংসদে আসুক, তারপর আইনের ব্যাপারে কোনো বক্তব্য থাকলে কিংবা সংশোধনী থাকলে তিনি দিক।

মন্ত্রী আইনটি উত্থাপনের পক্ষে অবস্থান ব্যক্ত করেন। পরে স্পিকার বিষয়টি ভোটে দিলে কণ্ঠভোটে আপত্তি নাকচ হওয়ার পর বিলটি সংসদে উত্থাপন করা হয়। বিলটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে আগামী ১৫ দিনের মধ্যে সংসদে রিপোর্ট দেয়ার জন্য আইন বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।

বিলের উদ্দেশ্য ও কারণ সম্বলিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, রাষ্ট্রপতি কর্তৃক বাংলাদেশ রফতানি প্রক্রিয়াকরণ এলাকার (বেপজা) ইপিজেডস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক নিয়োগ, মালিক-শ্রমিকের মধ্যে সম্পর্ক, সর্বনিম্ন মজুরির হার নির্ধারণ, মজুরি পরিশোধ, কার্যকালে দুর্ঘটনাজনিত কারণে শ্রমিকের জখমের জন্য ক্ষতিপূরণ, শ্রমিকের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ইত্যাদি বিষয়ে বিধান প্রণয়নের উদ্দেশ্য ও শ্রমিক কল্যাণ সমিতি গঠন এবং ইপিজেড শ্রমিক কল্যাণ সমিতি ও শিল্প সম্পর্ক বিষয়ক বিদ্যমান আইন সংশোধন ও সংহতকরণ কল্পে ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম অধ্যাদেশ-২০১৯’ (২০১৯ সালের ০১ নং অধ্যাদেশ) জারি করা হয়।

ইপিজেডস্থ শিল্প প্রতিষ্ঠানের শ্রমিকদের অধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে ওই অধ্যাদেশের বিধানসমূহ অব্যাহত রাখা সমীচীন ও প্রয়োজনীয়। অধ্যাদেশের বিধানসমূহ কার্যকর রাখার উদ্দেশ্যেই ‘বাংলাদেশ ইপিজেড শ্রম আইন-২০১৯’ প্রণয়নের কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন