ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় চলবে ২০টি ফেরি ও ২২টি লঞ্চ

  21-05-2019 11:09AM


পিএনএস ডেস্ক: আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে ঘরমুখো যাত্রী ও যানবাহন পারাপারে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটে চলবে ২০টি ফেরি ও ২২টি লঞ্চ।

এসময় ঈদের আগে ও পরে তিন দিন করে মোট ছয় দিন বন্ধ থাকবে অপচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার। ঈদে দেশের দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের ২১ জেলার ঘরমুখো মানুষের যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে এসব প্রস্তুতি নিয়েছে সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। তবে যাত্রীবাহী যানবাহনের সঙ্গে পারাপার হবে কাঁচামাল ও জরুরি পচনশীল পণ্যবাহী ট্রাক।

ঘাট সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতরে দৌলতদিয়া ঘাট দিয়ে সাধারণ মানুষের যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে এবং যানজট নিরসনে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ট্রাফিক পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা সার্বক্ষণিক দায়িত্ব পালন করবেন। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তার জন্য ঘাট এলাকায় থাকবে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা। সেই সঙ্গে ঘাট এলাকার সড়কে ঈদের আগেই বৈদ্যুতিক লাইট স্থাপন এবং লঞ্চ ও ফেরি ঘাটের সংযোগ সড়ক সংস্কার করা হবে।

ঈদ উপলক্ষে সম্প্রতি প্রশাসন ও মালিক-শ্রমিকদের সভায় জানানো হয়েছে, ঈদের সময় সড়কে বাস ও থ্রি হুইলারসহ অন্যান্য যানবাহন শৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে চলাচল করা, যাত্রীদের থেকে অতিরিক্ত ভাড়া আদায় না করা ও কাউন্টারে ভাড়ার চার্ট টানিয়ে দেওয়া, চলন্ত ফেরিতে জুয়ার আসর বন্ধ করা, ঘাট এলাকায় দালাল ও ছিনতাইকারী চক্রকে শনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে সড়কে এলোমেলোভাবে গাড়ি না রাখতে চালক ও শ্রমিকদের প্রতি অনুরোধ জানানো হয়েছে।

ঈদে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়ায় চলবে ২২টি লঞ্চ
বিআইডব্লিউটিসি দৌলতদিয়া ঘাট ব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. সফিকুল ইসলাম জানান, ‘যদি কোনও প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে আমরা ২০টি ফেরি দিয়ে সাধারণ মানুষ ও যানবাহন পারাপার করতে সক্ষম হবো।’

বিআইডব্লিইটিএ এর সহকারী ব্যাবস্থাপক ফরিদুল ইসলাম জানান, ‘৩৪টি লঞ্চ আছে আরিচা টু পাটুরিয়া ও আরিচা টু কাজীরহাট এই দুইটা নৌপথে। এর মধ্যে ২২টা লঞ্চ চলাচল করবে দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌ পথে এবং ১২টা লঞ্চ চলাচল করবে আরিচা-কাজীরহাট নৌ পথে।’

রাজবাড়ী সড়ক ও জনপথ বিভাগের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. আশিকুল ইসলাম জানান, ‘রাজবাড়ী সড়ক বিভাগের আওতাধীন রাজবাড়ী কুষ্টিয়া আঞ্চলিক মহাসড়কে যে উন্নয়ন কাজ চলছে তা অতিদ্রুত সম্পন্ন করতে ঠিকাদারকে কঠোরভাবে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঠিকাদার তার কাজ চলমান রেখেছে। ঈদে ঘরমুখো মানুষ যাতে নির্বিঘ্নে যাতায়াত করতে পারে তার জন্য ব্যবস্থা করা হচ্ছে। কোনও প্রকার সমস্যা থাকবে না আশা করছি। নিয়মিত ঠিকাদারের কাজ নজরদারি করা হচ্ছে।’

রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার আসমা সিদ্দিকা মিলি জানান, ‘রাস্তাঘাট যদি সময়মতো মেরামত শেষ হয় এবং যদি প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হয় তাহলে অবশ্যই ঈদযাত্রা সুন্দরভাবে ও নির্বিঘ্নে শেষ হবে। ঘাট এলাকায় যাত্রী হয়রানী ও চাঁদাবাজি বন্ধে সাদা পোশাকে পুলিশের পাশাপাশি তিনস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন