বিদেশ সফরে ৩ বছরে ৩০০০ কর্মকর্তা !

  17-10-2019 07:23PM

পিএনএস ডেস্ক : বিদ্যুৎ বিভাগের প্রায় তিন হাজার কর্মকর্তা গত তিন বছরে বিদেশ সফর করেছেন বলে জানতে পেরেছে সংসদীয় স্থায়ী কমিটি। বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে বিষয়টি নিয়ে আলোচনাকালে বিদেশ ভ্রমণ নিয়ে নানা অভিযোগের কথাও উঠে এসেছে। আলোচনা শেষে বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।

জাতীয় সংসদ ভবনে বৃহস্পতিবার বিকেলে অনুষ্ঠিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন কমিটির সভাপতি মো. শহীদুজ্জামান সরকার। বৈঠকে কমিটির সদস্য প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ, মো. আবু জাহির, মো. আছলাম হোসেন সওদাগর, খালেদা খানম ও বেগম নার্গিস রহমান এবং বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. আহমদ কায়কাউসসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

বৈঠকে উত্থাপিত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, গত তিন বছরে বিদ্যুৎ বিভাগের ২৯৬১জন কর্মকর্তা বিভিন্ন দেশ সফর করেছেন। সব কর্মকর্তাই এ বিভাগের অধীন চলমান প্রকল্প থেকে সফরে যান। কম সময়ে অধিক কর্মকর্তা বিদেশ সফর করায় বিষয়টি নিয়ে কথা বলেন কমিটির সদস্যরা। তারা এতো কর্মকর্তার বিদেশ সফর বিষয়ে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিবের বক্তব্য জানতে চান। তিনি বলেন, সব সফর হয়েছে রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনের তাগিদে। এখানে অস্বচ্ছতার কোন সুযোগ নেই। জবাবে সংসদীয় কমিটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, প্রয়োজনে সফর ঠিক আছে। তবে অপ্রয়োজনে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারিরা যাতে একটিও বিদেশ সফর করতে না পারেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে।

কমিটির সভাপতি শহীদুজ্জামান সরকার সাংবাদিকদের বলেন, 'সরকারি কর্মকর্তাদের বিদেশ সফরকে ঘিরে বিভিন্ন গণমাধ্যমে নেতিবাচক সংবাদ প্রকাশ পাচ্ছে। বিদ্যুৎ বিভাগ থেকেও গত ৩বছরে প্রায় ৩ হাজার কর্মকর্তা বিদেশ সফর করেছেন। কমিটির পক্ষ থেকে এতো বিদেশ সফরের কারণ জানতে চাওয়া হয়েছিল। তারা বলেছেন, রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে এ সফর। তবে আমরা বলেছি, স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে সফর করতে হবে।' সংসদীয় কমিটি বিষয়টি কঠিনভাবে নজরদারি করছে বলেও তিনি জানান।

কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে অফগ্রিডে এলাকায় নবায়নযোগ্য জ্বালানীর মাধ্যমে বিদ্যুতায়নে গৃহীত কার্যক্রম সম্পর্কে আলোচনা করা হয়। আলোচনা শেষে বাংলাদেশকে উন্নত দেশে রুপান্তর করতে ২০২০ সালের মধ্যে শতভাগ বিদ্যুতায়ন নিশ্চিত করতে মন্ত্রণালয়কে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এছাড়াও বিদ্যুতের অবৈধ সংযোগ ও চুরি রোধে মনিটরিং কার্যক্রম জোরদার করার তাগিদ দেওয়া হয়।

এসময় কমিটিকে জানানো হয়, গ্রামাঞ্চল এবং অফগ্রিড এলাকায় সোলার বিদ্যুৎ সংযোগ প্রদানের জন্য ২১টি সোলার মিনিগ্রিড, এক হাজার ৩৭৪টি সোলার ইরিগেশন পাম্প এবং ৫ দশমিক ৮ মিলিয়ন সোলার হোম সিস্টেম স্থাপন করা হয়েছে। আরো ৬টি সোলার মিনিগ্রিড এবং ২৩২টি সোলার ইরিগেশন পাম্প স্থাপনের প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে। এছাড়াও যে সকল অবিদ্যুতায়িত পকেটসমূহে গ্রিড বিদ্যুৎ পৌঁছানো সম্ভব হয়নি এমন এক হাজার ৬৯টি অফগ্রিড গ্রাম চিহ্নিত করা হয়েছে। যার মধ্যে ৬২০টি গ্রামে আগামী জুনের মধ্যে গ্রিডের মাধ্যমে বিদ্যুৎ সংযোগ দেওয়া সম্ভব হবে।

পিএনএস-জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন