যে কারণে খুন হন ডা. শাহ আলম

  23-10-2019 02:03PM

পিএনএস ডেস্ক : গণ ছিনতাইয়ে বাধা দেয়ায় নৃশংসভাবে খুন করা হয় চিকিৎসক শাহ আলমকে। আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এমন তথ্য দেন চিকিৎসক হত্যাকাণ্ডে জড়িত লেগুনার চালক মো. ফারুক।
এর আগে সোমবার রাতে চট্টগ্রাম নগরীর রেল স্টেশন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে ওমর ফারুককে আটক করে র‍্যাব।

মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৫টায় র‍্যাব-৭ এর চান্দগাও কার্যালয়ে এসব তথ্য জানান স্কোয়াড কমান্ডার কাজী মাহমুদ তারেক আজীজ।

তিনি বলেন, বারবকুণ্ড থেকে চট্টগ্রাম শহরে নিজ বাসায় আসার জন্য একটি লেগুনাতে উঠেন ডা. শাহ আলাম। লেগুনাটি কিছুদূর যাওয়ার পর আরো দুই জন যাত্রী ওঠে। এর আরো কিছু দূর যাওয়ার পর আরো দুই জন যাত্রী উঠে লেগুনায়।

আজীজ বলেন, আসলে ওরা কেউ যাত্রী ছিলো না। সংঘবদ্ধ ছিনতাই চক্রের সদস্য সবাই।

তিনি আরো জানান, ডা. শাহ আলমের কাছ থেকে ছিনতাই করতে গেলে বাধা দেন তিনি। মূলত বাধা দেয়ার কারণে ছুরিকাঘাত করে শাহ আলমকে হত্যা করা হয়। জানান র‍্যাবের এই কর্মকর্তা।

তিনি আরো বলেন শাহ আলমের কাছ থেকে ছিনতাই করার আগে আরো কয়েকটি ছিনতাই করে তারা।

হত্যাকারীর বরাত দিয়ে তিনি আরো জানান, হত্যাকাণ্ডের পর কুমিরার নিজ বাসায় গিয়ে পানির বালতি আনে ঘাতক ফারুক। পরে লেগুনা নিয়ে বারবকুণ্ডের সমুদ্র তীরে গিয়ে পানি দিয়ে লেগুনা থেকে শাহ আলমের রক্ত পরিষ্কার করে।

তিনি জানান এই হত্যাকাণ্ডে চালক ওমর ফারুক ছাড়াও আরো চারজন জড়িত ছিলো। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে তাদের নামগুলো প্রকাশ করা হলো না।

গত বৃহস্পতিবার (১৭ অক্টোবর) বারবকুণ্ডের নিজ চেম্বার থেকে চট্টগ্রাম শহরের নিজ বাসায় আসার উদ্দেশ্যে বিন মনসুর পরিবহন নামের একটি লেগুনা ওঠেন চিকিৎসক শাহ আলম। পরদিন তার মরদেহ পাওয়া যায় মহাসড়কের পাশে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন