আদালত চত্বরে উভয়পক্ষের আইনজীবীদের মুখোমুখি মিছিল

  12-12-2019 11:37AM


পিএনএস ডেস্ক: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন চেয়ে করা আপিল আবেদনের ওপর শুনানি চলছে। এরমধ্যে আদালত চত্বরে পাল্টাপাল্টি মিছিল ও স্লোগান দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা।

বৃহস্পতিবার ১০টা ৮ মিনিটে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগে এ শুনানি শুরু হয়।

খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিতে এনরোলমেন্ট তালিকা দেখে কিংবা পরিচয়পত্র যাচাই করে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগে আইনজীবীদের প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে।

এরমধ্যেই পাল্টাপাল্টি মিছিল করেছেন আওয়ামী লীগ ও বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। মিছিলে বিএনপিপন্থী আইনজীবিদের নেতৃত্বে রয়েছেন সাবেক সংসদ সদস্য ও আইনজীবী নীলুফা ইয়াসমিন মনি। তারা স্লোগান দিচ্ছেন- বিচারের নামে টালবাহানা চলবে না, খালেদা জিয়ার মুক্তি দিতে হবে।

এছাড়া খালেদা জিয়া স্লোগানে সুপ্রিমকোর্ট চত্বর মুখরিত করে রেখেছেন তারা।

অন্যদিকে আদালতে বিশৃঙ্খলা চলবে না, বহিরাগতদের আদালতে ঢুকতে দেয়া হবে না বলে আওয়ামীপন্থীরা স্লোগান দিচ্ছেন।

খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করতে আইনজীবী প্যানেলে রয়েছেন- অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, খন্দকার মাহবুব হোসেন, মওদুদ আহমদ, এজে মোহাম্মদ আলী, মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরুদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, ফারুক হোসেন ও একেএম এহসানুর রহমান। দুদকের পক্ষে রয়েছেন খুরশীদ আলম খান। আর রাষ্ট্রপক্ষে আছেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।

জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াসহ চার আসামির সবাইকে ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়ে গত বছর ২৯ অক্টোবর রায় দেন বিচারিক আদালত। ১৮ নভেম্বর খালেদা জিয়ার দণ্ড বাতিল ও খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল করেন তার আইনজীবীরা।

৬৩৮ পৃষ্ঠার মূল রায়সহ প্রায় ৭০০ পৃষ্ঠার এ আপিলের সঙ্গে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনও করা হয়। ৩০ এপ্রিল ওই আপিল আবেদন শুনানির জন্য গ্রহণ করেন হাইকোর্ট। সেদিন বিচারিক আদালতের রায়ে দেয়া অর্থদণ্ড স্থগিত এবং সম্পত্তি জব্দের আদেশে স্থিতাবস্থা দেন।

পাশাপাশি খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি নথিভুক্ত করে মামলার নথি তলব করেন হাইকোর্ট। এ মামলায় হাইকোর্ট ৩১ জুলাই খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনটি খারিজ করে দিলে ১৪ নভেম্বর আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় আপিল করেন বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী কায়সার কামাল।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন