সারাদেশে যুব মহিলা লীগ নেত্রীদের সম্পর্কে খোঁজ নেয়া শুরু

  26-02-2020 07:46PM

পিএনএস ডেস্ক : পাপিয়াকাণ্ডের পর বেশ বিব্রত অবস্থায় রয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠন আওয়ামী যুব মহিলা লীগ। ফলে নড়েচড়ে বসেছেন সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্ব। কেন্দ্রীয় কমিটি জরুরি বৈঠক ডেকে সারাদেশের যুব মহিলা লীগের নেত্রীদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়া শুরু করেছে।

সংগঠনটির একাধিক নেত্রীর সাথে কথা বলে জানা যায়, পাপিয়া আটকের পর যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় নেত্রীরা বৈঠকে বসেন। সেখানে সারাদেশে পাপিয়ার মত আরো কেউ দলীয় পরিচয় ব্যবহার করে অপকর্মের সাথে জড়িত রয়েছে কিনা তা খোঁজা হচ্ছে। এছাড়া সন্দেহভাজনদের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত শুরু করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। একইসাথে সার্বিক পরিস্থিতি সাংগঠনিক নেত্রী আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাকে জানানোর জন্য বুধবার দুপুরে গণভবনে গিয়েছেন সংগঠনটির সভাপতি নাজমা আক্তার।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক যুব মহিলা লীগের এক নেত্রী জানান, পাপিয়ার মত আরো অনেক নেত্রী রয়েছেন যারা অপকর্মে লিপ্ত। প্রভাবশালী ব্যক্তিদের ম্যানেজ করে তারা অপকর্ম করে যাচ্ছেন এবং ‘আঙুল ফুলে কলাগাছ’ হয়েছেন।

প্রতারণা, অবৈধ অর্থ পাচার, জালটাকা সরবরাহ, মাদক ব্যবসা ও অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে সম্প্রতি আটক হয়েছেন নরসিংদী জেলা যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীমা নুর পাপিয়া, তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে মতি সুমনসহ চারজন।

আটকের পরপরই সামনে আসতে থাকে পাপিয়ার অপকর্মের খতিয়ান। রাজনৈতিক অঙ্গনেও পাপিয়াকে নিয়ে চলছে আলোচনা সমালোচনা। মঙ্গলবার থেকে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে রাজধানীর বিমানবন্দর থানার পুলিশ।

পাপিয়া নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকা অবস্থায় বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২২ ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হন। ধরা পড়ার পর তাকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। পাপিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে রাজধানীর বিমানবন্দর থানায় অর্থপাচার ও জাল টাকা রাখার ঘটনায় একটি মামলা এবং শেরেবাংলা নগর থানায় মাদক ও অস্ত্র আইনে দুটি মামলা হয়।

যুব মহিলা লীগের একাধিক কেন্দ্রীয় নেত্রীরা জানান, যুব মহিলা লীগেরও শুদ্ধি অভিযানের আওতায় আসছে। ফলে সংগঠনটির শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে পদচ্যুতির শঙ্কা বিরাজ করছে। তড়িঘড়ি করে অনানুষ্ঠানিক সভা করে তৃণমূলের যুব মহিলা লীগ নেত্রীদের সম্পর্কে খোঁজ খবর নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে যুবমহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদ অপু উকিল বলেন, আমরা ইতোমধ্যে আমরা মিটিং করে সিদ্ধান্ত নিয়ে খোঁজ খবর নেয়া শুরু করেছি। আমাদের ৪০টা টিম রয়েছে বিভিন্ন জেলায়। আর নরসিংদীতে যে টিম রয়েছে তারা কেন তার (পাপিয়া) গতিবিধি ফলো করতে পারেনি, সেজন্য তাদের কাছে আমরা জবাব চেয়েছি। গতকালই আমরা জেলার দায়িত্বে থাকা সকল টিমকে নির্দেশনা দিয়েছি সব মেয়েদের খোঁজ খবর নিতে এবং লিখিত আকারে রিপোর্ট করতে। কেউ সন্দেহভাজন হলেও তার বিষয়ে খোঁজ খবর বা তদন্তের নির্দেশনা দিয়েছি।

পিএনএস-জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন