বিমানের ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা আরও ৭ দিন বাড়লো

  05-04-2020 02:05PM

পিএনএস ডেস্ক: করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে আন্তর্জাতিক ও অভ্যন্তরীণ রুটের ফ্লাইট বন্ধের সময়সীমা আরও ৭ দিন বাড়ানো হয়েছে। আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত যাত্রীবাহী ফ্লাইট চলাচল বন্ধ ঘোষনা করা হয়েছে। তবে বিশেষ কার্গো ফ্লাইট ও নিয়মিত কার্গো ফ্লাইট যথারীতি চলবে।

রোববার ( ৫ এপ্রিল) বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও মোকাব্বির হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

সিইও মোকাব্বির হোসেন বলেন, এই সময়ের মধ্যে এসব দেশ থেকে বাংলাদেশে কোনো ফ্লাইট আসতে পারবে না। দেশের অভ্যন্তরেও কোনো ফ্লাইট চলাচল করতে পারবে না। কেউ যদি এই সময়ের মধ্যে টিকিটের টাকা ফেরত নিতে চান তাহলে যোগাযোগ করে নিতে পারবেন।

এর আগে, অভ্যন্তরীণ রুট ও যুক্তরাজ্যসহ ইউরোপের সব দেশ ও অন্যান্য ১০ দেশের সঙ্গে ফ্লাইট চলাচলে নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ৩১ মার্চ থেকে বাড়িয়ে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত করা হয়েছিল।

এর আগে করোনাভাইরাসের কারণে ২১ থেকে ৩১ মার্চ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য, চীন, হংকং, থাইল্যান্ড ছাড়া সব দেশের সঙ্গে যাত্রীবাহী সব বিমান সংস্থার ফ্লাইট চলাচল বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল বাংলাদেশ বেসরকারি বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) বেবিচক। এরপর আরেকটি আদেশে এই সময়সীমা আরও সাত দিন বাড়িয়ে ৭ এপ্রিল পর্যন্ত নির্ধারণ করা হয়েছিল।

এদিকে বেবিচকের আগের ঘোষণায় যুক্তরাজ্য, চীন, হংকংয়ের সঙ্গে যাত্রীবাহী ফ্লাইটগুলো সরাসরি চলবে বলে জানানো হয়েছিল। কিন্তু এই ঘোষণার সাত দিনের মধ্যে বর্তমানে চীন ছাড়া বাকি তিনটি রুট বন্ধের ঘোষণা দেয় এয়ারলাইন্সগুলো।

সর্বশেষ ২৮ মার্চ থেকে হংকংয়ে ক্যাথে-প্যাসিফিকের ফ্লাইট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যায়। ৩০ মার্চ বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসও লন্ডন ও ম্যানচেস্টার রুটে ফ্লাইট চলাচল স্থগিত করে। এই দুটি রুটে বিমান প্রতি সপ্তাহে ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করত। লন্ডন ও ম্যানচেস্টার রুট বন্ধের মধ্য দিয়ে বিমানের ১৭টি আন্তর্জাতিক রুটের সব ফ্লাইট বন্ধ হয়ে যায়। ১৭টি রুটে বিমান প্রতি সপ্তাহে ২১৮টি ফ্লাইট পরিচালনা করত। করোনাভাইরাসের কারণে ২৪ মার্চ রাত ১২টা থেকে দেশের অভ্যন্তরীণ রুটেও ফ্লাইট বন্ধ ঘোষণা করে বেবিচক।

প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৭০ জনের শরীরে ভাইরাসটি শনাক্ত হয়েছে। এরমধ্যে মারা গেছেন আটজন।

এদিকে বিশ্বে এখন পর্যন্ত ১২ লাখ ১ হাজার ৯৩৩ জনের শরীরে করোনা ভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৬৪ হাজার ৭২০ জন। আক্রান্তদের মধ্যে সুস্থ হয়েছেন ২ লাখ ৪৬ হাজার ৬৩৪ জন।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন