দুবাইয়ে সহস্রাধিক তরুণীকে যেভাবে যৌনপেশায় বাধ্য করে আজম!

  12-07-2020 04:35PM

পিএনএস ডেস্ক: দুবাই ড্যান্স ক্লাবে আন্তর্জাতিক নারী পাচারকারী চক্রের হোতা মোহাম্মদ আজম খান এবং তার দুই সহযোগী আনোয়ার হোসেন ময়না ও আলামিন হোসেন ওরফে ডায়মন্ডকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

শনিবার (১১ জুলাই) রাতে সিআইডির অরগানাইজড ক্রাইম শাখার একটি টিম অভিযান চালিয়ে রাজধানী থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে।

সিআইডির অরগানাইজড ক্রাইম শাখার ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ রোববার (১২ জুলাই) দুপুর ১২টায় রাজধানীর মালিবাগে সিআইডি কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন এ বিষয়ে জানান।

তিনি বলেন, আজম খান গত আট বছর ধরে বাংলাদেশ থেকে অল্প বয়সী তরুণীদের দুবাইয়ের হোটেলে মোটা অংকের বেতনে লোভ দেখিয়ে নিয়ে যেতো। দুবাইয়ে আজম খানের চারটি হোটেল রয়েছে।

ডিআইজি ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, আজম খান জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছে, সে ওই সব হোটেলে এ পর্যন্ত বাংলাদেশ থেকে সহস্রাধিক তরুণীকে নিয়ে দেহ ব্যবসায় বাধ্য করেছে।

ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, বাংলাদেশে এই চক্রের অন্তত ৫০ জন রয়েছে যারা বিভিন্ন এলাকা থেকে তরুণীদের সংগ্রহ করতো। সম্প্রতি দুবাই সরকার আজম খানকে দেহব্যবসা করানোর অপরাধে আটক করে। সেখানে এক মাস জেল খেটে বের হওয়ার পর দুবাইয়ের বাংলাদেশ দূতাবাস থেকে আজম খানের পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে তাকে দেশে পাঠিয়ে দেয়।

তিনি বলেন, দেশে এসে আজম খান নতুন পাসপোর্ট করে অন্য কোনো দেশে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিল বলে জানান ইমতিয়াজ আহমেদ।

তিনি আরও বলেন, অল্প বয়সী তরুণীদের হোটেলে ৫০ হাজার টাকা বেতনে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বিনা খরচে তাদের দুবাই নিয়ে যেতো আজম খান। দুবাই যাওয়ার পর প্রথমে তাদের ডান্স বারে নাচতে বাধ্য করতো। পরবর্তীতে জোর করে দেহব্যবসা করাতো।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, আজম খানের মোবাইলে এমন অনেক ভুক্তভোগী তরুণীর কান্নাকাটি ও আহাজারির অডিও রেকর্ড পাওয়া গেছে যা খুবই মর্মস্পর্শী। আজম খানের দুই ভাই এখনো দুবাইয়ে রয়েছে। তারা তার এই অবৈধ ব্যবসার সহযোগী। বিষয়টি সিআইডি তদন্ত করছে। চক্রের অন্যান্য সদস্যদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।

ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, রাজধানীর লালবাগ থানায় গত ২ জুলাই সিআইডি বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে। মামলাটি তদন্তাধীন রয়েছে। দেশের বিভিন্ন থানায় আজম খানের বিরুদ্ধে ছয়টি হত্যা মামলাসহ ১৫টি মামলা রয়েছে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন