ডা. সাবরিনাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে

  14-07-2020 02:10PM

পিএনএস ডেস্ক:করোনা ভাইরাসের পরীক্ষা নিয়ে রিপোর্ট জালিয়াতির মামলায় ৩ দিনের রিমান্ডে থাকা জেকেজি হেলথকেয়ারের চেয়ারম্যান ও জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউটের চিকিৎসক ডা. সাবরিনা শারমিন হুসাইন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরীকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশে (ডিবি) কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে। একইসঙ্গে জেকেজির বিরুদ্ধে দায়ের করা প্রতারণার মামলাটি ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৪ জুলাই) সকালে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তেঁজগাও বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) হারুন-অর-রশীদ।

তিনি জানান, মামলাটির অধিকতর তদন্তের জন্য ডিবিতে হস্তান্তর করা হয়েছে। তাই ডা. সাবরিনাকে গোয়েন্দা পুলিশের পক্ষ থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। এজন্য তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেয়া হয়েছে।

গত রবিবার ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগীয় উপকমিশনারে (ডিসি) কার্যালয়ে ভুয়া সার্টিফিকেট দেয়াসহ নানা বিষয়ে ডা. সাবরিনাকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন তেজগাঁও বিভাগের ডিসি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে গ্রেফতার দেখানো হয়। এরইমধ্যে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলাও করেছে।

সরকারি কর্মচারী বিধিমালা ভঙ্গের অভিযোগে গতকালই ডা. সাবরিনাকে সাময়িক বরখাস্ত করার কথা জানায় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।

করোনার পরীক্ষার রিপোর্ট জালিয়াতির মামলায় গতকাল সোমবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে ডা. সাবরিনাকে আদালতে নিয়ে ৪ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তেজগাঁও থানার তদন্ত কর্মকর্তা। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিনুর রহমান ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

এদিকে করোনা পরীক্ষা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগে এক ভুক্তভোগীর করা মামলায় ডা. সাবরিনার স্বামী জেকেজির প্রধান নির্বাহী আরিফুল হক চৌধুরীও গ্রেফতার হয়ে কারাগারে আছেন।

গত এপ্রিল মাস থেকে জেকেজি থেকে প্রায় ২৭ হাজার রোগীকে করোনার টেস্টের রিপোর্ট দেয়া হয়েছে। এরমধ্যে ১১ হাজার ৫৪০ জনের করোনার নমুনা আইইডিসিআর-এর মাধ্যমে সঠিক পরীক্ষা করানো হয়েছিল। বাকি ১৫ হাজার ৪৬০ জনের নমুনা পরীক্ষা না করেই প্রতিষ্ঠানটির ল্যাপটপের মাধ্যমে ভুয়া রিপোর্ট তৈরি করে রোগীদের দেয়া হয়। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী জব্দ করা ল্যাপটপ থেকে এসবের প্রমাণও পেয়েছে।

তেজগাঁও থানা পুলিশ জানিয়েছে, জেকেজির মাঠকর্মীরা ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর, নরসিংদীসহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে করোনার নমুনা সংগ্রহ করে বাংলাদেশি প্রত্যেক রোগীর কাছ থেকে ৫ হাজার টাকা করে নিতো। আর বিদেশি রোগীদের কাছ থেকে নিতো ১০০ ডলার করে।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন