ডিএনডির প্রকল্প এলাকা পরিদর্শন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যসচিবের

  08-08-2020 09:28PM

পিএনএস ডেস্ক : ডিএনডির জলাবদ্ধতা নিরসনে সরকার ৫৫৮ কেটি টাকা ব্যয়ে এক প্রকল্প হাতে নেয় যা বাস্তবায়ন করছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরা (ডিএনডি) এলাকার নিষ্কাশন ব্যবস্থার উন্নয়ন প্রকল্প (২য় পর্যায়) সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন করতে বর্তমানে এর সম্ভাব্য ব্যয় বেড়ে ১ হাজার ৩০০ কোটি টাকা হয়েছে।

বর্ধিত ব্যয়ের সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের জন্য শনিবার সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইল এলাকায় প্রকল্পের কাজ সরেজমিনে পরিদর্শন করেন পরিকল্পনা কমিশনের সদস্যসচিব মো. জাকির হোসেন আকন্দ। এ সময় বর্ধিত ব্যয় অনুমোদনের জন্য আগামী একনেকের সভায় উপস্থাপন করা হবে বলে তিনি জানান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪ ইঞ্জিনিয়ার কনসট্রাকশন বিগ্রেডের মহাপরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম জাকারিয়া হুসাইন, সেনাবাহিনীর প্রকল্প পরিচালক লে. কর্নেল মোহাম্মদ মাসফিকুল আলম ভূঞা, প্রকল্পের পরিচালক পানি উন্নয়ন বোর্ডর নির্বাহী প্রকৌশলী রাশেদুল কবির, প্রজেক্ট অফিসার মেজর সৈয়দ মোস্তাকিম হায়দার প্রমুখ।

জানা গেছে, বর্তমান বন্যা পরিস্থিতিকে সামনে রেখে সেনাবাহিনী তড়িৎ গতিতে এ প্রকল্পের অধীনে নির্মিত পাম্প হাউসে থাকা পাম্পগুলো বিকল্প উপায়ে চালু করেছে। প্রকল্পের অন্যান্য কাজ চলমান রয়েছে।

প্রকল্প সূত্রে জানায়, এ পাম্পগুলোর সঙ্গে যুক্ত করা হয়েছে অত্যাধুনিক ডিভাইস, যাতে পাম্পগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবেই পানি টানার কাজ করবে। এতে বাঁচবে বিশাল অঙ্কের বিদ্যুৎ খরচও। তবে প্রকল্পের আওতাধীন ডিএনডি’র নিজস্ব জায়গায় অবৈধভাবে গড়ে ওঠা ২৭টি মসজিদ, ১১টি মাদ্রাসা, ১৩টি সরকারি-বেসরকারি স্কুল ও কলেজ, একটি মন্দির, ১টি পুলিশ চেকপোস্ট, ৪টি পেট«ল পাম্প ও ওয়াসার পাম্প হাউস, ৫টি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান রয়েছে যা উচ্ছেদ করার ক্ষেত্রে বিশাল জটিলতা রয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রায় ২৮ অবৈধ দখলদার উচ্চ ও নিম্ন আদালতে রিট করায় উচ্ছেদ অভিযানে বাধা পেতে হচ্ছে সেনাবাহিনীকে। সেনাবাহিনীর মহাপরিচালক জানান, তারা উচ্ছেদের জন্য শীগ্রই ‘একশানে’ যাবেন।

প্রকল্পের এক কর্মকর্তা জানান, রাজধানীর হাতিরঝিলের আদলে নির্মিত ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ-ডেমরার (ডিএনডি) পানি নিষ্কাশন প্রকল্পের উন্নয়নকাজের অর্ধেকের বেশি সম্পন্ন হয়েছে। বাকি কাজ সম্পন্ন করতে আরও ৭০০ কোটি টাকা প্রয়োজন। পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় এরই মধ্যে যাচাই-বাছাই শেষে প্রথম পর্যায়ের প্রকল্প সংশোধন করে অর্থ বরাদ্দ চেয়ে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির (একনেক) সভায় পাঠিয়েছেন যা দ্রুতই অনুমোদন হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

পিএনএস/এসআইআর




@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন