সুপ্রিম কোর্টে জানাজা শেষে বনানীর পথে রফিক-উল হকের মরদেহ

  24-10-2020 02:48PM

পিএনএস ডেস্ক: খ্যাতিমান আইনজীবী ও সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের তৃতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর দুইটায় সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে এ জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

এই জানাজায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেন, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রী শ ম রেজাউল করিম, বেসামরিক বিমান পরিবহন প্রতিমন্ত্রী মাহবুব আলী, সুপ্রিম কোর্টর আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিনসহ বিপুল সংখ্যক আইনজীবী অংশ নেন।

এর আগে বাদ জোহর ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের দ্বিতীয় জানাজা জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে অনুষ্ঠিত হয়। এ জানাজা নামাজে ইমামতি করেন বায়তুল মোকাররমের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মিজানুর রহমান।

বায়তুল মোকাররমে জানাজা শেষে ব্যারিস্টার রফিক-উল হকের মরদেহ নেয়া হয় তার দীর্ঘদিনের কর্মস্থল সুপ্রিম কোর্টে। প্রবীণ এ আইনজীবীকে বনানীতে সমাহিত করা হবে।

সুপ্রিম কোর্টের প্রবীণ আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর মগবাজারের আদ্-দ্বীন হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে (আইসিইউ) লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।

এরপর রফিক-উল হকের প্রথম জানাজা আদ্-দ্বীন হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হয়। তিনি ওই হাসপাতালের চেয়ারম্যান ছিলেন। সকাল সাড়ে ১০টায় প্রথম জানাজায় ইমামতি করেন আদ-দ্বীন জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ সাইদুল ইসলাম।

শনিবার (২৪ অক্টোবর) সকাল সাড়ে ৮টায় রাজধানীর আদ-দ্বীন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৫ বছর।

আদ-দ্বীন হাসপাতালের পরিচালক ডা. অধ্যাপক নাহিদ ইয়াসমিন তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে শুক্রবার (১৬ অক্টোবর) থেকে রাজধানীর মগবাজারে অবস্থিত আদ-দ্বীন হাসপাতালেই চিকিৎসাধীন ছিলেন সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। গত শনিবার তিনি কিছুটা সুস্থবোধ করলে সকালের দিকে রিলিজ নিয়ে বাসায় ফিরে যান। কিন্তু দুপুরের পরপরই ফের তাকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।

জানা গেছে, রক্তশূন্যতা, ইউরিন সমস্যাসহ বার্ধক্যজনিত জটিলতায় ভুগছেন প্রবীণ এই আইনজীবী। তিনি ডা. রিচমন্ড রোল্যান্ড গোমেজের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন।

এর আগে গত জুনে ডায়াবেটিস কমে যাওয়ায় শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আদ-দ্বীন হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে ছিলেন ব্যারিস্টার রফিক-উল হক। তখন তিনি পল্টনের বাসায় অবস্থান করেই চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হয়ে ওঠেন।

ব্যারিস্টার রফিক-উল হক ১৯৩৫ সালের ২ নভেম্বর কলকাতার সুবর্ণপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ১৯৯০ সালের ৭ এপ্রিল থেকে একই বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা ছিলেন। তিনি ছিলেন রাষ্ট্রের ষষ্ঠ প্রধান আইন কর্মকর্তা (অ্যাটর্নি জেনারেল)।

২০১৭ সালে বাম পায়ের হাঁটুতে অস্ত্রোপচারের পর থেকে তার চলাফেরা সীমিত হয়ে পড়ে। এ কারণে তিনি স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারতেন না।

যার কারণে বয়োবৃদ্ধ খ্যাতিমান এ মানুষটির বিছানায় শুয়েই দিনের বেশিরভাগ সময় কেটেছে গত দুই বছরে। চলাফেরা করতে হুইল চেয়ার আর কর্মচারীরাই ছিল তার সঙ্গী।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন