ভারত থেকে আসা ১০০ কেজি গাঁজাসহ গ্রেপ্তার ২

  28-10-2020 03:05AM

পিএনএস ডেস্ক : রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানা এলাকা থেকে ১০০ কেজি গাঁজাসহ একটি মিনি ট্রাক উদ্ধার করেছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগ। এ ঘটনায় দুই মাদক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে আসা এসব গাঁজা রাজধানীর এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দেওয়ার কথা ছিল তাদের।

গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তি হলো, সুমন ওরফে নোয়াখাইল্যা সুমন ওরফে খোকন (৩৬) ও শিউলি বেগম (৪০)। মঙ্গলবার (২৭ অক্টোবর) তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

গোপন তথ্যের ভিত্তিতে সোমবার রাত সোয়া ৮টার দিকে রাজধানীর উত্তরা পূর্ব থানাধীন ৬নং সেক্টরে ইশা খাঁ রোডের পশ্চিম মাথায় ঢাকা-ময়মনসিংহ রোডের ফুট ওভার ব্রিজের নিচে অভিযান চালায় পুলিশ। পূর্ব পার্শ্বে পাকা রাস্তার ওপর পৌঁছামাত্র পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে কতিপয় ব্যক্তি পালানোর চেষ্টাকালে মো. সুমন ওরফে নোয়াখাইল্যা সুমন (৩৬) এবং মোসা. শিউলি বেগমকে আটক করে। তবে তাদের সঙ্গে থাকা দুই জন পালিয়ে গেছে।

এ সময় আটক দুই আসামির কাছ থেকে মিনিট্রাকে বিশেষ উপায়ে তৈরি বক্স থেকে ২৬ প্যাকেট লুজ গাঁজা উদ্ধার করে, যার ওজন ১০০ কেজি। এ ঘটনায় উত্তরা পূর্ব থানায় একটি নিয়মিত মামলা রুজু করা হয়েছে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।

গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগ সূত্রে জানা গেছে, উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মো. আব্দুল আহাদের নির্দেশনায় অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (ওয়ারী) মো. জসিম উদ্দিনের তত্ত্বাবধানে সিনিয়র সহকারী পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ খলিলুর রহমান, পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আরজুন, পুলিশ পরিদর্শক (নিরস্ত্র) মো. আ. হালিম, এসআই (নিরস্ত্র) মো. আসিফ ইকবাল, এসআই (নিরস্ত্র) মজিদ, এসআই(নিরস্ত্র) মো. শাহাজাত আলী, এএসআই মো. শামীম মিয়া, এএসআই রেজাউল করিম, এএসআই মো. ইসমাইল হোসেন, এএসআই মো. আবু বক্কর সিদ্দিক, এএসআই মো. হান্নান, এএসআই মো. জাহিদুল ইসলাম অভিযানে অংশ নেন।

গোয়েন্দা ওয়ারী বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) আব্দুল আহাদ পূর্বপশ্চিমকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে ১০০ কেজি গাঁজাসহ মিটি ট্রাকটি আটক করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা পেশাদার মাদক ব্যবসায়ী। তারা নিয়মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সীমান্ত থেকে গাঁজা এনে রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের বিভিন্ন এলাকায় সরবরাহ করতো।

গোয়েন্দা সূত্র জানায়, রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে সরবরাহকৃত গাঁজার বেশিরভাগই আসে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা ও আখাউড়া এবং কুমিল্লার বিভিন্ন সীমান্ত এলাকা দিয়ে। এরপর স্থলপথে এসব গাঁজা সারাদেশে ছড়িয়ে পড়ে।

সূত্র জানায়, এই দুই জেলার সীমান্ত এলাকায় বিভিন্ন পণ্যের আড়ালে বস্তাভর্তি গাঁজা নিয়ে ট্রাক-বাস বা বিভিন্ন যানবাহন দেশের বিভিন্ন এলাকায় যায়। মাদক ব্যবসায়ীরা রাতের আঁধারে সীমান্তরক্ষী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর চোখ ফাঁকি দিয়ে ভারত থেকে এসব গাঁজা আমদানি করে সারাদেশে ছড়িয়ে দেয়।

গোয়েন্দা পুলিশের এক কর্মকর্তা জানান, ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশনা অনুযায়ী তারা এখন মাদক ব্যবসায়ীদের রুট ধরে অনুসন্ধান করছেন। সীমান্ত থেকে গাঁজাসহ অন্যান্য মাদক কীভাবে এবং কয় হাত ঘুরে ঢাকায় আসে তা বের করার চেষ্টা চলছে।

পিএনএস-জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন