উৎকণ্ঠায় ২ ব্র্যাক কর্মকর্তার পরিবার

  18-03-2016 10:04PM


পিএনএস : আফগানিস্তানে অপহৃত ব্র্যাকের দুই কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ও হাজী শওকত আলীর স্বজনদের মধ্যে উদ্বেগ-উৎকণ্ঠা বিরাজ করছে।

অপহৃত সিরাজুল ইসলামের বাড়ি পাবনা সদর উপজেলার দুবলিয়া গ্রামে। বৃহস্পতিবার রাতে অপহরণের খবর জানার পর থেকে কান্না থামছে না তার স্ত্রী লতা খাতুনের। বাকরুদ্ধ বাবা-মা। অপহৃত অপরজন হাজী শওকতের বাড়ি পাবনার ফরিদপুর উপজেলায়। পরিবারের অভিযোগ, ব্র্যাক থেকে এখনো অপহৃত দুইজনের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়নি। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ তারা।

পারিবারের সদস্যরা জানান, সদর উপজেলার দুবলিয়া পুরাতন পাড়া গ্রামের এজেম উদ্দিন খানের দুই ছেলে, তিন মেয়ের মধ্যে তৃতীয় সন্তান সিরাজুল ইসলাম বেসরকারি সংস্থা ব্র্যাকে চাকরি করেন ১০ বছর ধরে। আর আফগানিস্তানে আছেন ২০১২ সালের শুরু থেকে। সর্বশেষ ছুটিতে গ্রামের বাড়ি এসে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি ফিরে যান কর্মস্থল আফগানিস্তানে। দুই বছর আগে বিয়ে করলেও সন্তান নেই তাদের সংসারে। আর অপহৃত অপরজন হাজী শওকতের বাড়ি জেলার ফরিদপুর উপজেলার হাঙরাগাড়ি গ্রামে। তার বাবার নাম মৃত মোস্তাক হোসেন। শওকতের মা ও স্ত্রী-সন্তান থাকে ঢাকার উত্তরায়।

বৃহস্পতিবার বিকেলে আফগানিস্তানের কুন্দুজ থেকে বাগলান এলাকায় যাওয়ার পথে অস্ত্রের মুখে ব্র্যাকের প্রধান হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম ও প্রধান প্রকৌশলী হাজী শওকতকে অপহরণ করে বন্দুকধারীরা। রাতে আফগানিস্তান থেকে ফোনে সিরাজুল ইসলামের সহকর্মী শহিদুল ইসলাম পরিবারকে অপহরণের ঘটনা জানান।

এরপর থেকে স্বামীর চিন্তায় কান্না থামছে না সিরাজুলের স্ত্রী লতা খাতুনের। তিনি বলেন, রাত ৮টার দিকে আফগানিস্তান থেকে শহিদুল ইসলাম তাকে ফোন করে জানান সিরাজুলকে অপহরণ করা হয়েছে। এরপর থেকে কিছু ভাবতে পারছেন তিনি।

সিরাজুলের বৃদ্ধা মা শাহনাজ পারভীন বলেন, সরকারের কাছে দাবি তার ছেলেকে যেন উদ্ধারের ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

সিরাজুলের ভাই আব্দুল খালেক খান বলেন, অপহরণের পর এখনো পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করেনি ব্র্যাকের কেউ। সরকার ও দুই দেশের দূতাবাসের কাছে দাবি- যেন তার ভাইকে উদ্ধার করে দেশে ফিরিয়ে আনেন। ছেলে অপরহরণের খবর শুনে বাবা এজেম উদ্দিন খান অসুস্থ হয়ে পড়েছেন।

হাজী শওকত আলীর ভায়রা আবু বকর সিদ্দিক জানান, অপহরণের ঘটনা তারা শুনেছেন। এরপর থেকে টেনশনে আছেন। তিনি জানান, শওকত আলীর মা, স্ত্রী, ছেলে-মেয়ে সবাই ঢাকার উত্তরায় থাকেন। ফরিদপুরে কেউ থাকে না।

এ বিষয়ে ব্র্যাকের পাবনা অফিসের কোনো কর্মকর্তা কথা বলতে রাজি হননি।





পিএনএস/বাকীবিল্লাহ্

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন