প্রচারণায় নামবেন খালেদা জিয়া শেষ পর্যন্ত থাকবে বিএনপি

  12-01-2018 09:42AM


পিএনএস ডেস্ক: ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) উপনির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থীর পক্ষে প্রচারণায় নামবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। তিন অথবা পাঁচ দিন উত্তরের নির্বাচনে মাঠে থাকতে পারেন তিনি। আসন্ন এ নির্বাচন নিয়ে দলে নানা শঙ্কা কাজ করলেও প্রচার-প্রচারণা কিংবা সার্বিক প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখতে চায় না দলটি। গত মেয়র নির্বাচনের মাঝপথে দলটি ভোট বয়কট করলেও এবার শেষ পর্যন্ত থাকার চিন্তা করছে তারা।

আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন উপনির্বাচন। এতে ধানের শীষের প্রার্থী এখনো ঘোষণা করেনি বিএনপি। দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সিটি নির্বাচনে দলের প্রার্থী চূড়ান্ত করতে আগামীকাল শনিবার খালেদা জিয়া দলের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির সাথে বৈঠক করবেন। বৈঠক শেষে অথবা পরদিন রোববার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থী ঘোষণা করা হতে পারে।

প্রার্থিতা নিয়ে গত সপ্তাহে ২০ দলীয় জোটের সাথে বৈঠক করেছেন খালেদা জিয়া। ওই বৈঠকে উত্তর সিটিতে জোটগতভাবে প্রার্থী দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। বিএনপিতে মেয়র পদে একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী থাকলেও বিগত নির্বাচনে দলের প্রার্থী তাবিথ আউয়ালকেই মনোনয়ন দেয়ার বিষয়টি প্রায় চূড়ান্ত হয়ে আছে। ২০ দলীয় জোটের মধ্যেও মেয়র পদে একাধিক প্রার্থী রয়েছেন। জোটের অন্যতম শরিক বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মো: সেলিম উদ্দিন নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। প্রচারণাও চালাচ্ছেন তিনি। জানা গেছে, বিএনপি স্থায়ী কমিটির আগামীকালের বৈঠকে দল ও জোটের সম্ভাব্য প্রার্থীদের নিয়ে আলোচনা করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

বিএনপি হাইকমান্ডের পছন্দের প্রার্থী তালিকায় এক নম্বরে থাকা তাবিথ আউয়াল নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করেছেন। তেজগাঁওয়ে নির্বাচনী অফিস খুলেছেন। নির্বাচনী ইশতেহার তৈরির কাজও চলছে। মরহুম মেয়র আনিসুল হকের ইতিবাচক সব পরিকল্পনা বাস্তবায়ন কিংবা অসমাপ্ত কাজগুলো এগিয়ে নেয়ার প্রতিশ্রুতিসহ আগামীতে সুন্দর ও বাসযোগ্য ঢাকা মহানগরী গড়তে চমকপ্রদ নানা উদ্যোগের কথা থাকছে তার ইশতেহারে।

তাবিথ আউয়াল নির্বাচন সুষ্ঠু হওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তবে তিনি বলেন, এবার প্রস্তুতিতে কোনো ঘাটতি রাখতে চান না তিনি। প্রতিটি কেন্দ্রে বিশ্বস্ত ও ত্যাগী এজেন্ট রাখা হবে। ভোট গণনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত তারা দায়িত্ব পালন করবেন।

২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত ডিএনসিসি নির্বাচনে প্রথম তিন ঘণ্টায় তিন লাখ ২৫ হাজার ৮০ ভোট পেয়েছিলেন তাবিথ। এরপর ব্যাপক কারচুপির অভিযোগে বিএনপি ওই নির্বাচন বয়কট করে। জানা গেছে, এবার বিএনপি নির্বাচন বয়কট না করে শেষ পর্যন্ত মাঠে থাকবে। যদি নির্বাচন সুষ্ঠু না হয়, তাহলে এটি রাজনৈতিক ইস্যু হবে।
গত মেয়র নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নেমেছিলেন বেগম খালেদা জিয়া। ওই সময় পরপর তিন দিন খালেদা জিয়ার নির্বাচনী প্রচারণায় হামলা চালানো হয়েছিল। খালেদা জিয়াকে বহনকারী গাড়িতে লাঠিসোটা দিয়ে আক্রমণ করা হয়। তার নিরাপত্তায় নিয়োজিত সিএসএফ (চেয়ারপারসন সিকিউরিটি ফোর্স) সদস্যরাও মারাত্মকভাবে আহত হন। জানা গেছে, এবারো নির্বাচনী প্রচারণায় নামবেন খালেদা জিয়া।

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনকে নিজেদের জনপ্রিয়তা যাচাইয়ের বড় সুযোগ হিসেবে বিবেচনা করে ভোটের ময়দানে দৃঢ়তার সাথে থাকতে চায় বিএনপি। দলটি মনে করছে, জাতীয় নির্বাচনের আগে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে জিততে পারলে এর প্রভাব জাতীয় নির্বাচনে পড়বে। নেতারা বলছেন, সরকারের ওপর সাধারণ মানুষ ুব্ধ। সুষ্ঠু ভোট হলে তাদের মনোনীত প্রার্থীর বিজয় নিশ্চিত। তবে সীমানা জটিলতার কারণে এ নির্বাচন শেষ পর্যন্ত হবে কি না তা নিয়ে সংশয় কাজ করছে। সূত্র: নয়া দিগন্ত

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন