‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে সরকার রেহাই পাবে না’

  14-02-2018 02:03PM


পিএনএস ডেস্ক: ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে শেখ হাসিনার সরকার রেহাই পাবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন ২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীরবিক্রম)।

বুধবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে বিএনপির অনশনে অংশগ্রহণ করে তিনি এসব কথা বলেন। সকাল ১০টা থেকে অনশন শুরু করেন বিএনপি ও দলের অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। শুরুতেই কয়েক হাজার নেতাকর্মী এতে যোগ দিয়েছেন। পরে ২০ দলীয় জোটের নেতাকর্মীরাও যোগ দেন। এ অনশন কর্মসূচি চলার কথা ছিল বিকেল ৪ টা পর্যন্ত। কিন্তু পুলিশের অনুরোধে একটায় শেষ করা হয়।

২০ দলীয় জোটের শরিক বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম (বীরবিক্রম) বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কারাগারে রেখে শেখ হাসিনার সরকার রেহাই পাবে না। খালেদা জিয়াকে অবশ্যই মুক্তি দিতে হবে।’

ন্যাশনাল পিপলস পার্টির (এনপিপি) সভাপতি ফরিদুজ্জামান ফরহাদ বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে জেলে রেখে প্রধানমন্ত্রী শান্তি পাবেন না। মিথ্যা মামলায় খালেদা জিয়াকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আন্দোলনের মাধ্যমে তাকে মুক্তি দিতে সরকারকে বাধ্য করা হবে।’

বাংলাদেশ লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকার খালেদা জিয়ার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে তাকে মিথ্যা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছে। তারা চায়, বিএনপি ও ২০ দলকে বাইরে রেখে ৫ জানুয়ারি মার্কা নির্বাচন করে আবারও ক্ষমতা দখল করতে। কিন্তু সেটি আর করতে দেওয়া হবে না।’

জোটের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ বলেন, ‘আর একটু ধৈয্য ধরুন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করুন। একমাস পর রাজপথ আমাদের (২০ দলীয় জোট) দখলে চলে আসবে ইনশাল্লাহ।’

সরকারের উদ্দেশ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে পার্থ বলেন, ‘আদালতের কলমের খোঁচা দিয়ে খালেদা জিয়াকে জেলে বন্দী রাখা যাবে না। খালেদা জিয়া আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী।’

খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে কর্মসূচি সফল করতে মঙ্গলবার সকাল ১০টার আগ থেকেই নেতাকর্মীরা প্রেসক্লাবের সামনে জড়ো হতে শুরু করেন। এরপর আসেন বিএনপি ও জোটের জ্যেষ্ঠ নেতারা। ১০টা বাজার সঙ্গে সঙ্গে কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে শুরু হয় অনশন।

অনশন কর্মসূচীতে বাংলাদেশ জাতীয় পার্টি-বিজেপির চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার আন্দালিব রহমান পার্থ ছাড়াও কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অবঃ) সৈয়দ মুহাম্মদ ইব্রাহিম বীর প্রতীক, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, লেবার পার্টির চেয়ারম্যান ডা. মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সাধারণ সম্পাদক খন্দকার লুৎফর রহমান, ইসলামী ঐক্যজোটের মহাসচিব আবদুল করিম, ন্যাপ-ভাসানীর মহাসচিব গোলাম মোস্তফা প্রমুখ।

এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও উপস্থিত আছেন স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ, নজরুল ইসলাম খান, ভাইস-চেয়ারম্যান অ্যাড. খন্দকার মাহবুব হোসেন আব্দুল আউয়াল মিন্টু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, জয়নাল আবদীন ফারুক, হাবিবুর রহমান হাবিব, আবুল খায়ের ভূইয়া, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী, সাংগঠনিক সম্পাদক ফজলুল হক মিলন, রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, গণশিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূইয়া, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুস সালাম আজাদ, শহীদুল ইসলাম বাবুল, তথ্য ও গভেষণা বিষয়ক সহ-সম্পাদক কাদের গণি চৌধুরী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার, যুবদলের সভাপতি সাইফুল আলম নিরব, সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দীন টুকু, সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন হাসান, জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের সভানেত্রী আফরোজা আব্বাস, ছাত্রদলের সহ-সভাপতি নাজমুল হাসান প্রমুখ।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন