খালেদার রায় পর্যালোচনার বৈঠক

  20-02-2018 01:01AM

পিএনএস ডেস্ক: জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির সহযোগিতা করার দায়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দুদকের দায়ের করা মামলার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য রায় পর্যবেক্ষণ করছেন তার আইনজীবীরা।

সোমবার রাত ৯টার পর থেকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সভাপতি ও খালেদার আইনজীবী অ্যাডভোকেট এ জে মুহাম্মদ আলীর ধানমন্ডিস্থ চেম্বারে আইনজীবীদের একটি প্যানেল এই পর্যালোচনা বৈঠক করছেন।

রাত সাড়ে ১০টায় এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এ জে মোহাম্মদ আলীর ধানমন্ডির চেম্বারে বৈঠক চলছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী ব্যারিস্টার এ কে এম এহসানুর রহমান। তবে, বৈঠক রাত কয়টা পর্যন্ত চলবে তার কোনো নিশ্চয়তা না দিলেও কমপক্ষে ৩টা পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে বলে জানান তিনি। আপিল মঙ্গলবার হবে নাকি বুধবার করা হবে এই বৈঠকেই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হতে পারে বলেও জানান তিনি।

এহসানুর রহমান জানান, এ জে মোহাম্মদ আলী ছাড়া অন্য আইনজীবীরা হলেন- সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি ও বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান জয়নুল আবেদীন, সমিতির সম্পাদক ও বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, সানাউল্লাহ মিয়া, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল ও মাসুদ আহমেদ তালুকদার প্রমুখ।

এর আগে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন ও সম্পাদক ব্যারিস্টার এএম মাহবুব উদ্দিন খোকন ওই চেম্বারে যাওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্ট থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৪৫ মিনিটের দিকে বের হয়ে যান। তবে, অপর সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন একই সময়ে সুপ্রিম কোর্ট থেকে বের হয়ে গেলেও তিনি ওই বৈঠকে যাননি বলে জানান আইনজীবী এহসানুর রহমান।

আপিলের বিষয়ে ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেন, রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করার জন্য ড্রাফট প্রস্তুত করে রেখেছি। আজকে যত রাতই হোক আপিলের বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবো। কবে নাগাদ আপিল করা হবে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগামীকাল মঙ্গলবার হাইকোর্টে আপিল করার চেস্টা করবো।

সোমবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) বিকেল সোয়া ৪টার দিকে বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামানের কার্যালয় থেকে রায়ের এই অনুলিপি খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া এই অনুলিপি গ্রহণ করেন।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি বিশেষ জজ আদালত এই মামলার রায় দেন। এতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দুর্নীতির জন্য পাঁচ বছরের সাজা ও জরিমানা করা হয়। এ ছাড়া খালেদা জিয়ার ছেলে তারেক রহমানসহ অপর পাঁচ আসামির প্রত্যেকে ১০ বছরের জেল ও জরিমানা করা হয়।

রায়ের দিন আদালত ৬৩২ পৃষ্ঠার রায়ের সারসংক্ষেপ পড়েন। আজ যে অনুলিপি দেয়া হয়েছে, সেটি এক হাজার ১৭৪ পৃষ্ঠার। বৈঠক শুরুর আগে আইনজীবীদের হাতে আসা রায়ের পুরো কপিটাই (ফটোকপি) করার জন্য পাঠানো হয়।

সোমবার বিকেলে রায়ের বিচারক মো. আখতারুজ্জামানের স্বাক্ষরের পর ১১৭৪ পৃষ্ঠার রায়ের কপি খালেদার আইনজীবী প্যানেলের সদস্য জাকির হোসেন ভূঁইয়া পৌঁছে দেন। যদিও ৬৩২ পৃষ্ঠার রায় ছিল ঘোষিত রায়ে। রায়ের এ কপি খালেদার সিনিয়র আইনজীবী এ জে মোহাম্মদ আলীর কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অ্যাডভোকেট সানাউল্লাহ মিয়া।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন