জামায়াতের ভোট হতে পারে ফ্যাক্টর, মরিয়া আ’লীগ ও বিএনপি

  24-03-2018 08:59AM


পিএনএস, কাহালু: বগুড়ার কাহালু উপজেলার মালঞ্চা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে আগামী ২৯ মার্চ উপনির্বাচন। জমে উঠেছে নির্বাচনী প্রচারণা।

নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন চারজন প্রার্থী। তারা হলেন, বিএনপি মনোনীত মালঞ্চা ইউনিয়ন পরিষদের মরহুম চেয়ারম্যান আব্দুল মোত্তালেব মণ্ডলের স্ত্রী মর্জিনা বেগম, আওয়ামী লীগ মনোনীত সাবেক চেয়ারম্যান ও কাহালু উপজেলা আ’লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা: মো: আব্দুল হাকিম এবং স্বতন্ত্র সাখাওয়াত হোসেন মুকুল (আনারস) ও আ’লীগের বিদ্রোহী আব্দুল জব্বার মুন্সী (মোটরসাইকেল)। নির্বাচিত চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আব্দুল মোত্তালেব মণ্ডল সম্প্রতি ইন্তেকাল করায় এ উপনির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

এ ইউনিয়নে বিগম কয়েকটি নির্বাচনের ফলে দেখা গেছে, বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের ভোট সংখ্যা কাছাকাছি। সর্বশেষ নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী বিজয়ী, নিকটতম হয় আওয়ামী লীগ ও তৃতীয় অবস্থান হয় জামায়াতের প্রার্থীর। এবারের নির্বাচনে বিএনপি ও আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিলেও জামায়াতের প্রার্থী নেই। গত নির্বাচনে জামায়াত প্রার্থী আব্দুল গণি প্রামাণিক শারীরিক অসুস্থতার কারণে এবার প্রার্থী হননি। সে কারণে এবার জামায়াতের ভোট ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই বিএনপি, আ’লীগ ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জামায়াতের ভোট পাওয়ার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে।

জামায়াত সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতের সমর্থন যদি স্বতন্ত্র প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন মুকুলের (আনারস) দিকে যায় তাহলে ত্রিমুখী লড়াই হতে পরে। তবে জামায়াতের ভোটারেরা স্বাভাবিকভাবে ধানের শীষের প্রতি দুর্বল। তাই এমন যদি হয় তাহলে ধানের শীষের বিপুল বিজয় হতে পরে।

নির্বাচন নিয়ে মালঞ্চা বাজারে এ প্রতিবেদকের কথা হয়, বিএনপি প্রার্থী মর্জিনা বেগমের। তিনি বলেন, ভোটারেরা নির্ভয়ে ভোট দিতে পারলে এবং কোনো অনিয়ম না করলে আমার বিজয় নিশ্চিত। তিনি বলেন, নৌকার কর্মীরা আমার কর্মীদের হুমকি দিচ্ছে, গ্রেফতারের ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। আমার সাথে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হতে পারে নৌকার।
আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আব্দুল হাকিম বলেন, নৌকার পোস্টার ছিঁড়ে ফেলছে ধানের শীষের কর্মীরা। তারা আমার কর্মীদের ভয়ভীতিও দেখাচ্ছে। তিনি বলেন, ধানের শীষ আমার মূল প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারে। তিনি বলেন, নৌকা মার্কা না হয়ে যদি নির্দলীয় মার্কা হতো তাহলে অন্য প্রার্থীরা মাঠেই থাকত না।

নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী বিশিষ্ট সমাজসেবক সাখাওয়াত হোসেন মুকুল (আনারস)জানান, আমি সরাসরি কোনো দলের প্রার্থী না হলেও আমার সাথে বিএনপি, আওয়ামী লীগ ও জামায়াতের ভোটার রয়েছে। তাই দুই প্রার্থীই আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করেন। আমার জনপ্রিয়তায় ভীত হয়ে আমার কর্মীদের উড়ো চিঠি দিয়ে কাজ না করতে ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। সুষ্ঠু নির্বাচন হলে আমি বিজয়ী হবো।

সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৮ মে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে বিএনপি প্রার্থী আব্দুল মোত্তালেব মণ্ডল ধানের শীষ নিয়ে ৬ হাজার ৮৬৩ ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এ ছাড়া আ’লীগ প্রার্থী ডা: আব্দুল হাকিম (নৌকা) ৫ হাজার ৬১০ ভোট পেয়ে দ্বিতীয় ও জামায়াত নেতা আব্দুল গণি প্রামাণিক (আনারস) ৫ হাজার ৮১ ভোট পেয়ে তৃতীয় হন।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন