বাগেরহাট ৩ আসনে মনোনয়ন জমা ২৪ মে, ভোট ২৬জুন

  17-05-2018 03:08PM

পিএনএস, রামপাল (বাগেরহাট) প্রতিনিধি : তালুকদার আব্দুল খালেক খুলনা সিটি নিবাচনের প্রাথী হলে তিনি এই আসন থেকে পদত্যাগ করেন যার ফলে এই আসন নিবাচন কমিশন শূন্য ঘোষণা করে এবং আজ বৃহস্পতিবার তফসিল ঘোষণা করে।আসন্ন জাতীয় সংসদের উপ নির্বাচনকে সামনে রেখে বাগেরহাট-৩ মোংলা-রামপাল আসনের সম্ভাব্য প্রার্থীরা শুরু করেছেন নানা ধরণের তৎপরতা। বাগেরহাট-৩ আসনটি মোংলা ও রামপাল উপজেলা নিয়ে গঠিত। আ্ওয়ামীলীগ-বিএনপি’র একাধিক প্রার্থীর নাম নাম শোনা যাচ্ছে এবং আছে তাদের নির্বাচনী তৎপরত্ওা। আ্ওয়ামীলীগ-বিএনপি’র বাইরে জামায়াত, জাতীয় পার্টি ও ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলন’র প্রার্থীদেরও নাম শোনা যাচ্ছে। নির্বাচনী এলাকায় সম্ভাব্য প্রার্থীদের গণসংযোগ-সভা-সমাবেশ-ব্যানার-পেস্টুন লক্ষ্য করা যাচ্ছে।

মোংলা-রামপালের উপজেলা নির্বাচন অফিস এবং পরিসংখ্যান অফিস সূত্রে জানা যায় বাগেরহাট-৩ ( মোংলা-রামপাল ) আসনে বর্তমানে জনসংখ্যা হচ্ছে ৩ লাখ ২৭ হাজার ৫শ ৩৩জন। এর মধ্যে ভোটার হয়েছেন ২ লাখ ২১ হাজার ৫শ ৯৯জন। নারী ভোটার হচ্ছেন ১ লাখ ১০ হাজার ১১২ জন এবং পুরুষ ভোটার হচ্ছে ১ লাখ ১১ হাজার ৪শ ৮৭জন। এ আসনটি মূলত আ্ওয়ামীলীগের আসন। এরশাদের আমল বাদ দিলে বাকী সময় এই আসন থেকে সবসময় আ্ওয়ামীলীগের প্রার্থীরাই বিজয়ী হয়েছেন। ১৯৯১ সাল থেকে বর্তমান পর্যন্ত ৪ বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন সাবেক প্রতিমন্ত্রী, সাবেক খুলনা সিটি মেয়র খুলনা মহানগর আ্ওয়ামীলীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক। মাঝখানে ২০০৮ সালে এ আসন থেকে নির্বাচিত হয়েছিলেন তালুকদার আব্দুল খালেক’র স্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার।

কারন ঐ সময় তালুকদার আব্দুল খালেক সিটি মেয়র থাকার কারনে আ্ওয়ামীলীগের মনোনয়ন পেয়েছিলেন তার স্ত্রী বেগম হাবিবুন নাহার। ৯১ সাল থেকে প্রতিটি নির্বাচনে এই আসনটিতে আ্ওয়ামীলীগের সাথে জামায়াতের প্রতিদ্বন্ধিতা হয়েছে এবং বরাবরই নৌকা প্রতীক নিয়ে আ্ওয়ামীলীগের প্রার্থীরা বিজয়ী হয়েছেন। আওয়ামীলীগ থেকে তিনজন প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। তারা হলেন তালুকদার আব্দুল খালেক’র স্ত্রী সাবেক এমপি বেগম হাবিবুন নাহার, খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আ্ওয়ামীলীগের কেন্দ্রিয় উপ কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক শেখ আবু হানিফ এবং ছাত্রলীগের সাবেক কেন্দ্রিয় নেতা ও কেন্দ্রীয় আইন উপকমিটির সদস্য ব্যারিস্টার শেখ ওবায়েদ। স্থানীয় আ্ওয়ামীলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে আলাপে জানা যায় তালুকদার আব্দুল খালেক’র সহধর্মীনী বেগম হাবিবুন নাহারকে বাগেরহাট-৩ আসনে সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান।

অপর সম্ভাব্য প্রার্থী খুলনা জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শেখ আবু হানিফের কাছে নির্বাচন নিয়ে কী ভাবছেন জানতে চাইলে তিনি বলেন ২০০৮ এবং ২০১৩ সালে দলের কাছে মনোনয়ন চেয়েছিলাম আমি। তৃণমূলের তালিকায় আমার নাম ছিলো। রামপালে আমার বাড়ী। মানুষের সাথে মিলে মিশে আছি। জননেত্রী শেখ হাসিনা নবীন-প্রবীন মিলে আগামীতে দেশ পরিচালনার কথা যেভাবে ভাবছেন আশা করি তিনি আমাদের মতো তরুন নেতৃত্বের বিষয়টি বিবেচনা করবেন। দলের কাছে এবারও মনোনয়ন চাইবো। এছাড়া সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আছেন রামপাল উপজেলা আ্ওয়ামীলীগের সভাপতি শেখ আঃ ওহাবের ছেলে ছাত্রলীগের সাবেক নেতা ব্যারিস্টার ওবায়েদের তৎপরত্ওা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে শেখ পরিবারের কোন সদস্য বাগেরহাট-৩ আসনে প্রার্থী হতে পারেন বলে আ্ওয়ামীলীগের মধ্যে গুঞ্জন রয়েছে।

চিত্রনায়ক শাকিল খানও এইআসন থেকে আওয়ামিলীগ থেকে নিবাচন করতে ইচ্ছুক তিনি দলীয় নমিনশেন চাইবেন বলে শোনা যাচ্ছে । অন্যদিকে জামায়াত রাজনৈতিক এবং সাংগঠনিক ভাবে দূর্বল হ্ওয়ায় জোটগত ভাবে বিএনপি’র প্রার্থী নির্বাচন করুক এটাই প্রত্যাশা করছেন জামায়াত-বিএনপি’র তৃণমূলের সমর্থকরা। বিএনপির প্রার্থী হিসেবে তৎপরতা চালাচ্ছেন বাগেরহাট জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি ড. শেখ ফরিদুল ইসলাম। তার কাছে নির্বাচন সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন আগামী নির্বাচনে আমি দলের কাছে মনোনয়ন চাইবো। আশা করি দল আমাকে মনোনয়ন দিবে।আমি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালীন ছাত্রদলের রাজনীতি সাথে জড়িত ছিলাম। এখন্ও এলাকার মানুষের সাথে আছি এবং তাদের স্বার্থ সুরক্ষার জন্য কাজ করে যাচ্ছি। মোংলা রামপালে সুন্দরবন, ইপিজেড এবং বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল নিয়ে যে সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে নির্বাচিত হয়ে তা কাজে লাগাতে চাই।তবে দল যদি এই নিবাচনে না যায় তবে তিনি সতন্ত্র প্রাথী হিসাব নিবাচনে যেতে পারেন বলে শোনা যাচ্ছে।

বিএনপি’র প্রার্থী হিসেবে সাবেক কেন্দ্রিয় ছাত্রদল নেতা বাগেরহাট জেলা বিএনপি’র সদস্য শেখ আব্দুল হালিম খোকনের নাম্ও শোনা যায়। আ্ওয়ামীলীগ-বিএনপি’র বাইরে প্রার্থী হিসেবে লেবার পার্টি প্রধান সেকেন্দার আলী মনি এ আসনে জাতীয় পার্টির সাথে জোটগত নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। এছাড়া জামায়াতের এ্যাডঃ আব্দুল ওয়াদদু এবং ইসলামী শাসনতন্ত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে অধ্যক্ষ রুহুল আমীনের নাম তৃণমূল নেতা-কর্মীদের সাথে আলাপে জানা গেছে।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন