‘ছাত্রলীগের এসব তাণ্ডব লগি-বৈঠারই পুনরাবৃত্তি’

  05-07-2018 03:36PM


পিএনএস ডেস্ক: ছাত্রলীগ কর্তৃক ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ওপর হামলার সমালোচনা করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,ছাত্রলীগের এসব তাণ্ডব লগি-বৈঠারই পুনরাবৃত্তি।

রিজভী বলেন, ছাত্রলীগ-পুলিশের হামলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের সকল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা তাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি পালনকালে যেভাবে ছাত্রলীগ ও পুলিশের নির্যাতন ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে, যেভাবে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শিক্ষক ও উদ্বিগ্ন অভিভাবকদেরকে পুলিশি তাণ্ডবের শিকার হতে হয়েছে, যেভাবে শহীদ মিনারে ছাত্রলীগের হাতে ছাত্রীরা লাঞ্ছিত হয়েছে-ছাত্রলীগের এসব তাণ্ডব লগি-বৈঠারই পুনরাবৃত্তি বলে দেশবাসী মনে করে। প্রতিবাদী শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা বলছেন-ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এখন মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। এবারে অবৈধ ক্ষমতার বিবর্তনে ছাত্রলীগ ভয়াল প্রেতাত্মা হয়ে ভীষণ মূর্তি ধারণ করেছে।

বৃহস্পতিবার (৫ জুলাই) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় নয়, স্বীকৃতিপ্রাপ্ত স্বৈরাচার শেখ হাসিনার আগ্রাসী থাবায় সারাদেশই এখন বধ্যভূমি। গুম, খুন, অপহরণ, বিচার বহির্ভূত হত্যা, গ্রেপ্তার, নির্যাতন ও দলীয় সন্ত্রাসীদের তাণ্ডবই হলো এখন শেখ হাসিনার টিকে থাকার অবলম্বন। শিক্ষাঙ্গনগুলোতে এখন ছাত্রলীগ ও পুলিশের তাণ্ডবে বিভীষিকাময় অবস্থা বিরাজ করছে। গত পরশু দিন পুলিশ প্রতিবাদকারীদের ঠেকাতে যেভাবে প্রেসক্লাবের সামনে দাঁড়িয়েছিল তাতে মনে হয়েছে তারাই যেন মানববন্ধন করছে।’

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, ‘প্রতিবাদী কণ্ঠস্বরকে দমিয়ে রাখতে পুলিশ ও দলীয় ক্যাডারদের নগ্নভাবে ব্যবহার করছে আন্তর্জাতিক খেতাবপ্রাপ্ত স্বৈরাচারী সরকার। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির ভোটারবিহীন নির্বাচনের পর থেকে অবৈধ সরকার জনআতঙ্কে ভুগছে। একমাত্র সরকার দলীয় কর্মকাণ্ড ছাড়া আর কাউকে সভা-সমাবেশ কিংবা রাজনৈতিক কর্মসূচি পালন করতে দিচ্ছে না সরকার।’

সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাদের সাথে গতকালও (বুধবার, ৪ জুলাই) প্রধানমন্ত্রী বৈঠক করেছেন মন্তব্য করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সেখানে তাদেরকে কি সবক দিয়েছে তা আল্লাহ মাবুদই জানেন। ঢাকা ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোটা সংস্কার আন্দোলনে আন্দোলনরত সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদেরকে রক্তাক্ত করার বীরত্বে তাদেরকে একইভাবে আগামী নির্বাচনে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করতে নির্দেশ দিয়েছেন বলে মনে হয়। প্রধানমন্ত্রীর সাথে হামলাকারী ছাত্রলীগ নেতাদের উক্ত বৈঠক নতুন করে প্রতিবাদকারীদের রক্ত ঝরাতে তাদের আরও উৎসাহিত করবে।’

সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী, যুবদল নেতা গিয়াস উদ্দীন মামুন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন