নির্বাচনকালীন সরকারে যারা থাকছেন

  13-09-2018 11:41AM

পিএনএস ডেস্ক : আগামী ডিসেম্বরের শেষ সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হবে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এজন্য ৩০ অক্টোবরের পর যে কোন দিন তফসিল ঘোষণা করবে নির্বাচন কমিশন। তার আগেই গঠিত হবে নির্বাচনকালীন সরকার।

সরকারের বর্তমান মেয়াদেই জাতীয়করণ চান শিক্ষকরা এদিকে নির্বাচনের সময় যতই ঘনিয়ে আসছে, ততই ‘নির্বাচনকালীন সরকার’ নিয়ে আলোচনা জমে উঠছে। ওই সরকারে কারা থাকছেন, কারা বাদ পড়ছেন তা নিয়ে বিভিন্ন মহলে চলছে জল্পনা কল্পনা।

বর্তমান মন্ত্রিসভায় প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, উপমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দূত, উপদেষ্টাসহ মোট সদস্য সংখ্যা ৫৯ জন। এদের একটা বড় অংশই নির্বাচনকালীন সরকার থেকে ছিটকে পড়বেন।

নির্বাচনকালীন সরকারের মন্ত্রিসভার আকার ২৫ থেকে ৩০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকবে। এদিকে সম্প্রতি এক অনুষ্ঠানে সেতুমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানান, ওই সরকারে টেকনোক্র্যাট কোটায় কেউ আসবেন না। অন্যদিকে নির্বাচনকালীন সরকারে উপদেষ্টাও রাখা হবে, তবে সে সংখ্যা এখনো নিশ্চিত করে জানা যায়নি।

দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে যে নির্বাচনকালীন মন্ত্রিসভা হয়েছিল, তাতে প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী মিলিয়ে ছিল ২৯ সদস্যের। এর বাইরে ছিলেন ১০ জন উপদেষ্টা।

নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনকালীন সরকারে নেতৃত্ব দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এতে জায়গা পেতে পারেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, শিল্পমন্ত্রী আমির হোসেন আমু, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম, জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের, আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন, নৌপরিবহনমন্ত্রী শাজাহান খান, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল, পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী, গৃহায়ন ও গণপূর্তমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, সমাজকল্যাণমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন, তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, পানি সম্পদমন্ত্রী আনোয়ার হোসেন মঞ্জু, পরিবেশ ও বনমন্ত্রী ব্যারিস্টার আনিসুল ইসলাম মাহমুদ, যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ড. বীরেন সিকদার, শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী মুজিবুল হক চুন্নু।

এদিকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠনের লক্ষ্যে ১৪ দলীয় জোটের শরীক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করবে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে সংসদের প্রধান বিরোধী দল জাপার চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংসদে নিজ কার্যালয়ে অনির্ধারিত বৈঠক করেছেন।

নির্বাচনকালীন সরকারের বিষয়ে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, নির্বাচন কালীন সরকারের সদস্য সংখ্যা লিমিডেট হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন এবং আকার একান্তই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এখতিয়ার, এতে কারা থাকবেন তিনিই নির্ধারণ করবেন।

সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব ধরনের আয়োজন পরিচালনা করবে নির্বাচন কমিশন। তবে এ সময়ে সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় বা বিভাগ ইসির কাছে ন্যস্ত হতে হবে এমনটিও সংবিধানে উল্লেখ নেই। এ বিষয়ে সংবিধানে বলা আছে, নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতি প্রয়োজনীয় কর্মচারী নিযুক্ত করবেন। সরকারের নির্বাহী বিভাগ ইসিকে দায়িত্ব পালনে সহায়তা করবে।

সংবিধানের বিধান অনুসারে, বিদ্যমান সরকার ক্ষমতায় থাকতেই পরবর্তী সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এক্ষেত্রে নির্বাচনের আগে সংসদ ভেঙে গেলেও সরকারের ওপর তার প্রভাব পড়বে না। সংবিধানের ৫৭(৩) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে, ‘প্রধানমন্ত্রীর উত্তরাধিকারী কার্যভার গ্রহণ না করা পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীকে স্বীয় পদে বহাল থাকিতে এই অনুচ্ছেদের কোনকিছুই অযোগ্য করিবে না।’

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন