কে আসছে খালেদার আসনে

  20-09-2018 03:00PM


পিএনএস ডেস্ক: ফেনী জেলার পরশুরাম, ফুলগাজী, ও ছাগলনাইয়া উপজেলা ও পৌরসভা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসন ফেনী-১ । ১৯৯০ সাল থেকে ২০০৮ সাল পর্যন্ত সর্বমোট ৪ বার সংসদ সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।

এ আসনের ফুলগাজী উপজেলার শ্রীপুর গ্রামে খালেদার পৈত্রিক বাড়ি হওয়ায় আসনটি খালেদার আসন হিসেবে খ্যাত। আগামী নির্বাচনে বিএনপি অংশ নিলে এ আসনে নিশ্চিতভাবেই এমপি পদে প্রার্থী হবেন খালেদা জিয়া- এমনটাই মনে করছেন নেতা-কর্মীরা।

এদিকে খালেদা জিয়া এমপি হবার পর দলের সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বের কারণে এলাকাটি অভিভাবকশূন্য হয়ে যায়। শুধু সংসদ সদস্য হতেই খালেদা ফেনীর মেয়ে বলে পরিচয় দেন- এমন অভিযোগ ভোটারদের।

খালেদা জিয়া ফেনী-১ আসনে প্রার্থী হলেও আ’লীগ শক্ত প্রার্থী মনোনয়ন দিলে সেখানে জয় লাভ করা অনেক কঠিন হবে এমনটি ধারণা করছেন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। তারা মনে করছেন আসনটিতে বর্তমানে খালেদার দলের অবস্থা খুব দুর্বল।

বহুদিন ধরে ঝিমিয়ে পড়েছে বিএনপির কমিটিগুলো। আবার মামলা-হামলায় ভয়ে তৃণমূল নেতারা ঝুঁকছে আ.লীগের দিকে। এছাড়া রয়েছে তৃণমূল সংগঠনে কোন্দল চরম পর্যায়ে ।

খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা জয়নাল আবেদীন ভিপি জানান, নির্বচনে অংশ নিলে নেত্রী এ আসন থেকে প্রার্থী হবেন। পৈত্রিক বাড়ি হওয়ায় কারণে নেত্রীর বাড়তি দুর্বলতা রয়েছে।

আসনটিতে ১৯৯০ থেকে ২০১৪, দীর্ঘ চব্বিশ বছরে আওয়ামী লীগের কোনো প্রার্থী জয় পাননি। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি নির্বাচনে জাসদ নেত্রী শিরিন আখতার মহাজোট প্রার্থী হিসেবে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বিতায় এমপি নির্বাচিত হন।

মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে আগামী নির্বাচনেও এ আসনটি জাসদের পাবার সম্ভাবনা বেশ জোরালো। আর সে কারণেই কিছুটা স্বস্তিতে আছেন শিরিন আখতার।

অপরদিকে এ আসনে ইতোপূর্বে আ’লীগের কোন এমপি নির্বাচিত না হলেও বিগত ১০ বছরে স্থানীয়ভাবে সাংগঠনিক ভিত্তি বেশ মজবুত হয়েছে। ইউপি নির্বাচনে সদস্য থেকে শুরু করে উপজেলা চেয়ারম্যান, পৌর মেয়র এবং সর্বশেষ জেলা পরিষদ সদস্যসহ জনপ্রতিনিধিদের ১ জন ছাড়া সবাই আ’লীগ থেকে নির্বাচিত। বিএনপির ঘাঁটি বলে খ্যাত এ আসনটি এখন পরিণত হয়েছে আ’লীগের ঘাঁটিতে।

আসনটিতে একসময়ে মন্ত্রী ছিলেন লে. কর্নেল জাফর ইমাম বীরবিক্রম (অব)। ২০০১ সালে আওয়ামী লীগে যোগ দিয়ে এ আসন থেকে নির্বাচন করে খালেদা জিয়ার কাছে হেরে যান জাফর ইমাম। তার ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছেন, তিনি দলীয় মনোনয়ন পেলে আবারও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করতে পারেন।

এছাড়াও আসনে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে তালিকায় আছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট। আগামী নির্বাচনের প্রার্থী হিসেবে তার গ্রহণযোগ্যতা আছে। তিনি ঢাকা নাকি এলাকা থেকে প্রার্থী হবেন তা এখনো অনিশ্চিত।

এদিকে ছাগলনাইয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও দলের সাধারণ সম্পাদক মেজবাউল হায়দার চৌধুরী সোহেলও দলীয় মনোনয়ন চাইবেন বলে জানা গেছে। বর্তমানে তার নেতৃত্বে উপজেলা আ’লীগ অনেক শক্তিশালী ও সংগঠিত।

অন্যদিকে, ছাগলনাইয়ায় বহু উন্নয়নমূলক কাজ করে যাচ্ছেন বিশিষ্ট শিল্পপতি ও এফবিসিসিআই র সাবেক সভাপতি আলহাজ এম এ কাসেম । তিনিও নির্বাচনে প্রার্থী হতে পারেন বলে জানা গেছে। এর আগেও তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেছেন।

নির্বাচন যতই ঘনিয়ে আসছে ততই আলোচনা বাড়ছে খালেদার আসনটি নিয়ে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন