আওয়ামী জোটে যাচ্ছেন কর্নেল অলি?

  21-10-2018 05:15PM

পিএনএস ডেস্ক : ভোট এলেই বাড়ে জোটের সংখ্যা। এবারও ব্যতিক্রম নয়। আগামী একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে জোট-মহাজোট গঠনে রাজনৈতিক দলগুলোতে নীরব প্রতিযোগিতা চলছে। নিজেদের ঐক্য অটুট রেখে অন্য জোট ভাঙতে নানা কৌশল প্রয়োগে ব্যস্ত নেতারা। ফলে জোট থেকে বেরিয়ে যাচ্ছে অনেক দল।

এতে যেমন এক দিকে ভাঙছে, তেমনি অন্য দিকে গঠিত হচ্ছে নতুন জোট। নিজেদের গুরুত্ব বাড়াতে অনেক দল নতুন করে জোট বাঁধার পরিকল্পনা আঁটছেন। নিজের পায়ে ভর করে ছোট দলগুলোর নেতারা ক্ষমতায় যাবেন বা এমপি হবেন এমন সুযোগও খুব বেশি নেই। ফলে বড় দলগুলোর সঙ্গে ভিড়তে আগ্রহী ছোট দলগুলো। এরই অংশ হিসেবে এ মুহূর্তে অনেক দল আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে যোগ দিতে চাচ্ছে।

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটে যেতে রাজি ২০ দলীয় জোটের অন্যতম শরিক দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বীর বিক্রম। তবে এ জন্য শর্ত জুড়ে দিয়েছেন তিনি। আওয়ামী লীগ তার দলকে চারটি মহিলা আসনসহ মোট ২০টি আসন দিলেই কেবল তিনি ওই জোটে যোগ দেবেন। কাঙ্ক্ষিত সংখ্যক আসনের নিশ্চয়তা পেলেই বিএনপি জোট থেকে বেরিয়ে যাওয়ার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দেবেন তিনি।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ বীর বিক্রম একটি গণমাধ্যমককে বলেন, শুধু বাংলাদেশে নয়, ভারত, পাকিস্তান, মালয়েশিয়া ও জাপানের মতো দেশেও এক দল ছেড়ে আরেক দল, এক জোট ছেড়ে আরেক জোটে যাওয়ার নজীর আছে। সুতরাং বিষয়টিকে অস্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে দেখার সুযোগ নেই।

জানা গেছে, এরইমধ্যে দলের সম্ভব্য প্রার্থীদের নামের তালিকা আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল নেতাদের কাছে হস্তান্তর করেছেন অলি।

সূত্র জানায়, নির্বাচনে বিএনপি জোটের অন্যতম শরিকদল হিসেবে এলডিপিসহ নিবন্ধিত দলগুলোর অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে নির্বাচনকালীন সরকারে অলি আহমদের মন্ত্রীত্ব, নির্বাচিত সরকারের মন্ত্রিসভায় এলডিপির প্রতিনিধিত্ব এবং ৫টি সংসদীয় আসন এলডিপিকে ছেড়ে দিতে প্রস্তুত ছিল আওয়ামী লীগ। কিন্তু ক্ষমতাসীনদের কাছে চারটি মহিলা আসনসহ অলি আহমদ একাই ২০টি আসন চাইলে তার ব্যাপারে আওয়ামী লীগের আগ্রহে কিছুটা ভাটা পড়ে।

গত ২৯ জুলাই ড. অলি আহমদকে ফোন করেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। ১৯ জুলাই আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ফোন করেন বলে জানিয়েছেন অলি আহমদ। তবে কৌশলগত কারণে বিষয়টি উভয়পক্ষ থেকেই গোপন রাখা হয়।

যদিও ফোনালাপের বিষয়টি স্বীকার করে অলি আহমদ জানিয়েছিলেন, তিনি (ওবায়দুল কাদের) কুমিল্লার চান্দিনায় আমার ওপর হামলার বিষয়টি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নাকি নির্দেশ দিয়েছেন ভবিষ্যতে যেন আমার ওপর এ ধরনের হামলা আর না হয়। এ কথাটি বলার জন্যই তিনি আমাকে ফোন দিয়েছিলেন। রাজনৈতিক বিষয় নিয়ে কোনো আলাপ হয়েছে কিনা জানতে চাইলে অলি আহমদ বলেন, এ ব্যাপারে কোনো আলাপ হয়নি।

এর ব্যারিস্টার নাজমুল হুদা ও কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকীর সঙ্গেও বৈঠক করেন ওবায়দুল কাদের। বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি সিপিবির কার্যালয়ে গিয়ে দলটির সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিমসহ শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন