আওয়ামী লীগ নির্বাচনে হেরে যাচ্ছে: ড. কামাল

  10-12-2018 09:52PM

পিএনএস ডেস্ক : জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ও গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন বলেছেন, নির্বাচনে আওয়ামী লীগ হেরে যাচ্ছে। তাদের হাতে আর মাত্র ২০ দিন সময় আছে। এখনও সুযোগ আছে- এই সময়কে কাজে লাগিয়ে কিছু ভালো ও প্রশংসনীয় কাজ করে যান। অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট নিশ্চিত করুন।

জাতীয় প্রেস ক্লাবে সোমবার বিশ্ব মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ পরিষদ আয়োজিত ‘রাজনীতি ও মানবাধিকার’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ড. কামাল এ আহ্বান জানান।

সরকারের উদ্দেশে তিনি বলেন, আর কয়েক দিন পর তো সাধারণ মানুষ হয়ে যাবেন। আপনাদের যেন ৩১ তারিখ মোবারকবাদ দিতে পারি, সে সুযোগ দেন। কিছু ভালো কাজ করে না গেলে পরে এই বলে আফসোস করবেন- সুযোগ পেয়েও ভালো কাজটি করলাম না!

ড. কামাল বলেন, ৫ জানুয়ারির মতো ভোট এ দেশে আর হতে দেওয়া হবে না বলেই এবারের নির্বাচনে অংশ নিচ্ছি। ভোটে কারচুপির চেষ্টা হলে ১৮ কোটি মানুষকে নিয়ে রুখে দাঁড়াব।

মানুষ ভোট দিতে পারবে- এমন আশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, মানুষ ভোট দিতে না পারলে স্বাধীনতা থাকবে না।

নির্বাচনের সময়ও মাঠে থাকবেন জানিয়ে ড. কামাল বলেন, আমি তো আছিই। কথা বলছি। জনমত গঠন করছি। সমর্থন সৃষ্টি করছি। এই ৮০ বছর বয়সে এর চেয়ে আর কী করার আছে?

এ সময় তিনি সাধারণ ভোটারদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, রাস্তাঘাট, পাড়া-মহল্লায় নেমে পড়ূন। ভোট চাওয়া অপরাধ নয়। সবাই ঘর থেকে বের হয়ে পরিবর্তনের পক্ষে জনগণের কাছে গিয়ে ভোট চান।

এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রবীণ এই আইনজীবী বলেন, যারা হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার করেছে, লোপাট করেছে, ব্যাংক খালি করে দিয়েছে; তাদের বিষয়ে এনবিআরের কোনো মাথাব্যথা নেই।

তার আয়-ব্যয়ের হিসাব খতিয়ে দেখতে এনবিআর যে পদক্ষেপ নিচ্ছে, সে সম্পর্কে তিনি জানান, এসব বিষয় নিয়ে তার কোনো মাথাব্যথা নেই। তারা যা করতে পারে করুক।

জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত বিচারবহির্ভূত হত্যার পরিসংখ্যান তুলে ধরে ড. কামাল বলেন, বিনা বিচারে হত্যা ভয়াবহভাবে বেড়েছে। গত সাত বছরে পাঁচ গুণ হত্যাকাণ্ড বেড়েছে। ২০১১ সালে ছিল ৬০ জন, ১২ সালে ৫০ জন, ১৩ সালে ৪০ জন। এখন ২০১৮ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৩২১ জন!

তিনি বলেন, এটা মহামারী। এটা কীভাবে সম্ভব? দেশে গণতন্ত্রহীনতার কারণে এ রকম ঘটেছে। এভাবে মানুষ বিচারহীনতায় মরতে পারে না। বিনা বিচারে মানুষ হত্যার জন্য সরকারের বিচার হবে। এ ব্যাপারে রাষ্ট্রের সব উচ্চ স্তরের ব্যক্তিদের নিয়ে তদন্ত করতে হবে।

আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন নুরুল হুদা মিলু চৌধুরী। বক্তব্য রাখেন- সাবেক সচিব মোফাজ্জল করিম, শেখ শহীদুল ইসলাম, ড. মোহা. শাহজাহান, ড. ফরিদউদ্দিন ফরিদ, অধ্যাপক ড. অমিত আজাদ, প্রকৌশলী মমিনুল ইসলাম প্রমুখ। সভা সঞ্চালনা করেন তালুকদার মনিরুজ্জামান।

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন