মির্জা ফখরুলের গাড়িবহরে হামলাকারীদের দ্রুত শাস্তি সময়ের দাবি

  11-12-2018 03:22PM

পিএনএস (মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম প্রধান) : বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের গাড়িবহরে হামলা চালিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করে। বিএনপির মহাসচিব অক্ষত আছেন, তবে তার গাড়ির কাচ ভেঙে গেছে। ঘটনাটি সচেতন জনগোষ্ঠীকে অবাক করেছে। তারা দায়ীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করে নির্বাচন কমিশনের আন্তরিকতা ও দক্ষতার স্বাক্ষর রাখার এখনই মোক্ষম সময়।

জানা গেছে, ১১ ডিসেম্বর ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বেগুনবাড়ি ইউনিয়নের বানারহাট এলাকায় এ হামলার ঘটনা ঘটে। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঠাকুরগাঁও-১ ও বগুড়া-৬ আসনে থেকে নির্বাচন করছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে তিনি আজ ঠাকুরগাঁওয়ে গণসংযোগ করছেন।

হামলার ঘটনায় জনেমনে নানা প্রশ্নের সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি সচেতন মহলকে ভাবিয়ে তুলেছে। রাজনীতির মাঠে একজন স্বজ্জন ব্যক্তি হিসেবে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সুখ্যাতি রয়েছে।এর বাইরে তিনি ওই এলাকার একটি বনেদি পরিবারের সদস্য। তিনি সেখানের জনপ্রতিনিধিও ছিলেন। তার নিজের এলাকায় এমন হামলায় বিষয়টি বিস্ময়কর বৈকি।

ঘটনাটি একরকম বিনা উসকানিতে ঘটেছে বলে সূত্র জানায়। এমন ঘটনার পেছনে কারণ যা-ই থাকুক না কেন, ঘটনাটি যে দুঃখজনক; তা বলার অপেক্ষা রাখে না। একটি বড় রাজনৈতিক দলের প্রথম সারির দ্বিতীয় ব্যক্তির গাড়ি বহরে হামলা মানে, তার উপরই হামলা। এটা যে বা যারা করেছে, তারা গর্হিত কাজ করেছে। এদের খুঁজে বের করে শাস্তির আওতায় আনা জরুরি।

মিডিয়ায় হামলায় গাড়ির চিত্রে দেখা গেছে মির্জা সাহেবের সামনের কাচ ক্ষতিগ্রস্ত। এমন একজন নেতা এবং প্রার্থীর উপর অথবা তার গাড়ি বহরে এমন বর্বর ও ন্যক্কারজনক হামলা কারো কাছে গ্রহণযোগ্য হতে পারে না। ঘটনার অন্তরালে থাকা প্রকৃত দায়ীদের গ্রেফতারে নির্বাচন কমিশনকে দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ সময়ের দাবি। কেননা, এ দায় এড়ানোর সুযোগ কমিশনের নেই।

নির্বাচনের মাঠে শুধু নয়, রাজপথের অন্যতম বড় দল বিএনপি। সে দলের মহাসচিব এবং একজন প্রার্থী গাড়িবহরে এভাবে প্রকাশ্যে হামলার ঘটনা সুখকর নয়। বড় দল আর ছোট দল বলে নয়, নাগরিকদের নিরাপদে চলার মৌলিক ও সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে। অধিকার রয়েছে প্রার্থী হওয়ার ও প্রচারণার। এ অবস্থায় হামলার ঘটনা শান্তিপূর্ণ নির্বাচনকে এগিয়ে নেওয়ার পথে বাধা হিসেবে মনে করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।

এমনিতেই সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত হয়নি মর্মে বিএনপি জোটসহ বিরোধী পক্ষ থেকে দাবি জানানো হচ্ছে। এখনো সেটা তৈরি হয়নি বলে অহরহ বলা হচ্ছে। এর মধ্যে যদি হামলার ঘটনা সংঘটিত হয়, সেটা তো ইয়া বড় প্রশ্ন। ব্যাপারটি হালকাভাবে নেওয়ার সুযোগ নেই। তুড়ি মেরে উড়িয়ে দেওয়াও যুক্তিযুক্ত হবে না। স্বচ্ছতায় বিশ্বাসী হলে হামলার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দ্রুত হস্তক্ষেপ অধিক যুক্তিযুক্ত।

হামলার ঘটনাটি এমনভাবে গুরুত্ব দিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা দ্রুততার সঙ্গে গ্রহণ করতে হবে যে, আর যেন কেউ নির্বাচনকালীন সময়ে এমন ঘটনার পুনরাবৃত্তির সাহস না পায়। চলমান একাদশ সংসদ নির্বাচনে এটিই যেন শেষ ঘটনা হয়। সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসীদের দমনে বর্তমান নির্বাচন কমিশন কতটা আন্তরিক ও দক্ষ, মির্জা সাহেবের গাড়ি বহরে হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করে দৃষ্টান্ত স্থাপনের এখনই সুবর্ণ সুযোগ।

লেখক : বিশেষ প্রতিনিধি- পিএনএস

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন