এবার ৫ জানুয়ারির আশঙ্কা নেই: এমাজউদ্দীন

  12-12-2018 09:58PM

পিএনএস ডেস্ক : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেছেন, এই নির্বাচন আন্দোলনও বটে। আন্দোলনে যেভাবে অংশগ্রহণ করতে হয়, নির্বাচনেও সেভাবে অংশগ্রহণ করা দরকার। ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন হবে। তবে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির মতো অবস্থার কোনও আশঙ্কা নেই।

রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবের কনফারেন্স লাউঞ্জে আজ ‘শত নাগরিক’ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

'সংবাদপত্রে দেশ: এক দশকের মানচিত্র প্রদর্শনী ও সেমিনার' শীর্ষক অনুষ্ঠানস্থলে জাহাঙ্গীর নগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রফেসর ড. আব্দুল লতিফ মাসুম সংগ্রহীত গত এক দশকে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া বিভিন্ন রাজনৈতিক সংহিংসতার ঘটনার একটি তথ্যচিত্র প্রদর্শনী সকলের নজর কাড়ে। সেখানে বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত হামলা-মামলা, সংখ্যালঘু নির্যাতন, শাসন-প্রশাসনের দুর্নীতিসহ গুরুত্বপূর্ণ ১০ টি ইস্যুর খবরগুলো স্থান পায়। অনেকেই সেগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন।

বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী, অর্থনীতিবিদ ড. মাহবুব উল্লাহ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক শহিদুল্লাহ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, অধ্যাপক কামরুল আহসান, অধ্যাপক শরীফ উদ্দীন, অধ্যাপক এমাদুল হুদা, অধ্যাপক জামাল উদ্দীন রুনু, কবি আবদুল হাই শিকাদার প্রমুখ।

এমাজউদ্দীন আহমদে আরো বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের পর আমাদের সামনে অন্য একটা চিত্র আসবে। তবে, এই দেশের নাগরিকদের উচিত একটা প্রতিবাদ করা। আর প্রতিবাদ যদি ব্যর্থ হয়, তার জন্য আরও সুচিন্তিতভাবে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া দরকার। তিনি আরো বলেন, রাষ্ট্র, সরকার ও দল যে কোনো গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় স্বতন্ত্র। কিন্তু বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পরপরই গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য দুইটি জিনিস অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে সম্পন্ন করেছে।

একটি হলো- সরকার ও রাজনৈতিক দলকে একীভূত করা। অন্যটি হলো- প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা সহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় দলীয় বিবেচনায় নিয়োগ দেয়া। ফলে এখন সরকার ও দল একাকার। এসময় তিনি পুলিশের উদ্দেশ্যে বলেন, আমার অনেক ছাত্র পুলিশ বিভাগের উর্ধ্বতন হিসেবে আছেন। তাদের জন্য এখান থেকে উচ্চারণ করতে চাচ্ছি, সরকার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাকে বিধ্বস্ত করার জন্য যে পরিকল্পনা করেছিল, তোমরা সরকারের এই ভুল পদক্ষেপের শিকার হইও না।

ড. আনোয়ারুল্লাহ চৌধুরী বলেন, সমসাময়িক কালের সমাজের চিত্র সংবাদপত্রে দেখতে পাই। তবে কিছু কিছু সংবাদপত্র আছে যারা শাসকগোষ্ঠীর পক্ষে আবার কিছু জনমানুষের কথা বলে। শোষক-শোষিতের কথা বলে। কিন্তু আজকে সেই বাংলাদেশ কোথায়? যে দেশে মানুষ স্বাধীনভাবে চলবে, দু মুঠো খেয়ে বাঁচবে। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পরও কেন আজ গণতন্ত্রের জন্য আন্দোলন করতে হয়? মানুষ তো স্বাধীনভাবেই জন্মলাভ করে। আজকে স্বাধীনতা কোথায়?

ড. মাহবুব উল্লাহ বলেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে আমি মনে করি কর্তৃত্ববাদী শাসক বেশিদিন থাকেনা। সময় হলেই চলে যায়। ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, সরকার অবলীলায় মিথ্যা কথা বলে। তার মন্ত্রী-এমপিরা পেরিলিয়ান লায়ার। এখন যেভাবে বিএনপির প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণ করা হচ্ছে তাতে আল্লাহ ভালো জানেন ৩০ ডিসেম্বর সংসদ নির্বাচনের দিন কী হবে?

পিএনএস/জে এ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন