বিএনপি আর কখনও ক্ষমতায় আসতে পারবে না : আমু

  12-03-2019 02:13AM



পিএনএস ডেস্ক: আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক শিল্পমন্ত্রী আমীর হোসেন আমু বিএনপির নাম উচ্চারণ না করে বলেছেন, নির্বাচনে অংশগ্রহন করার অর্থ হলো সংসদে অধিবেশনে যোগদান করা। কিন্তু সেখানেও তারা (বিএনপি) বিশ্বকে হতবাক করেছে। যারা তাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন তাদের হতাশ করেছেন। বিএনপি আর জনগনের কাছে ফিরে যেতে পারবে না।

ডেপুটি স্পিকার ফজলে রাব্বি মিয়ার সভাপতিত্বে গতকাল সংসদেও বৈঠকে রাষ্ট্রপতির ভাষনের ওপর আনিত ধন্যবাদ প্রস্তাবের আলোচনায় অংশ নিয়ে তিনি এসব কথা বলেন। এসময় তিনি আগামী একশ বছরের নির্বাচনের কথা আমি বলতে চাইনা, তবে বিএনপি আর কখনো ক্ষমতায় আসতে পারবে কিনা তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ।

আলোচনায় আরো অংশ নেন আওয়ামী লীগের বর্ষীয়ান নেতা ও সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, ডা. দীপু মনি, চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী, বিরোধী দলীয় উপনেতা জি এম কাদের, সাবেক বিরোধী দলীয় নেতা বেগম রওশন এরশাদ, সরকারি দলের আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী।

সাবেক শিল্পমন্ত্রী আরও বলেন, খালেদা জিয়া একবার বলেছিল একশো বছরেও আওয়ামীলীগ আর ক্ষমতায় আসতে পারবে না। সেই কথা বলে তাদের ভরাডুবি হয়েছিল। তিনি জানতে চান, যারা একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নির্বাচিত সংসদ সদস্য তাদেরকে সংসদে আসতে দেয়া হবেনা, তারা সংসদ অধিবেশনে যোগদান করবেনা- এর অর্থ কি? মানুষ কী তাদরকে ভোট দিয়েছিল সংসদ বর্জন করার জন্য নাকি- সংসদে অংশ গ্রহন করার জন্য? এটাই হচ্ছে আজকে তাদের কাছে জনগনের জিজ্ঞাসা। আমি মনে করি তাদরে প্রত্যেকটি পদক্ষেপই হচ্ছে এদেশের মানুষের স্বার্থের বিরোধী। এই জন জনস্বার্থ বিরোধী এবং এই দেশের স্বাধীনতার মুক্তিযুদ্ধ বিরোধী শক্তি আর কোন দিন এদেশের মানুষের আস্থা নিতে পারবেনা। এই দেশের মানুষের মনে আর কোনদিন ফিরে যেতে পারবেনা।

সাবেক মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর জম্ম না হলে আজো হয়তো আমরা পাস্তিানের করায়াত্ব থাকতাম। আজকের দিনে ১৯৪৮ সালের ১১ মার্চ ভাষা আন্দোলনের সুত্রপাত হয়। এ ভাষা আন্দোলনের সূত্র ধরে ৫৪ এর যুক্ত ফ্রন্টের নির্বাচন, ৬৪ আন্দোলন, উনসত্তরের আন্দোলন-৬ দফা আন্দোলণ এবং সত্তরের নির্বাচনে আমরা বিজয়ী হলেও ক্ষমতা ছাড়েনি পাকিস্তান সরকার।

তিনি অসহযোগ আন্দোলনসহ বঙ্গবন্ধুর বিভিন্ন নির্দেশনার কথা তুলে ধরেন। তিনি ১ মার্চ আন্দোলন শুরু করে ৭ মার্চের সেই ঐতিহাসিক ভাষনের বিষয় তুলে ধরে বলেন, বঙ্গবন্ধু না জম্মালে বাংলাদেশ স্বাধীন হতো না, আমরা বাঙারী জাতি হিসেবে একটি স্বাধীন দেশ পেতাম না। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু আমাদের স্বাধীনতা দিয়ে গেছেন, তার আর একটি স্বপ্ন ছিল দেশের মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি, তা নিশ্চিত করতে শেখ হাসিনা কাজ করে চলেছেন, তার হাত ধরে দেশ ক্ষুধামুক্ত ও দারিদ্রমুক্ত।

চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী বলেন, শেখ হাসিনার জম্ম না হলে দেশের মানুষ অর্থনৈতিক মুক্তি পেত না, শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বলে আমরা সিট মহল চুক্তি, পার্বত্য চট্টগ্রাম শান্তি চুক্তি, সমুদ্রসীমা বিজয় ও বঙ্গবন্ধু সাটেলাইট আকাশে উঠতো না। শেখ হাসিনা এ দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন বলে আমরা পদ্মা সেতু তৈরি করার মত সাহস দেখাতে পেরেছি।

ডা. দীপু মনি বলেন, গত ১০ টি বছরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের বিশাল বিজয় হয়েছে। তিনি প্রধানমন্ত্রী ছিলেন বলে আমরা বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের বিচার, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার, সমুদ্রসীমা বিজয়, ছিট মহল চুক্তিসহ সব বিষয়ে আমরা ইশতেহারে যা বলেছিলাম তা পালন করেছি। এ ছাড়া আমরা প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনা ঠেকাতে পেরেছি। আমরা জাতীয় শিক্ষা কমিশন গঠনের কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। তিনি শিক্ষাখাতে বাজেট বরাদ্দের আহ্বান জানান।

পিএনএস/হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন