বঙ্গবন্ধুকে ধারণ করতে পারলে গতিপথ ঠিক থাকবে

  16-03-2019 03:46PM

পিএনএস ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে আলোচনা করার দুঃসাহস আমার নেই। তাকে স্মরণ করতে পারছি এটা আমার সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। বঙ্গবন্ধুকে স্মরণ করার জন্য অনুষ্ঠানের দরকার নেই, তাকে চেতনায় ধারণ করতে পারলে আমাদের গতিপথ ঠিক থাকবে এবং তার চেতনা ধারণ করেই আমরা সঠিক ধারায় এগিয়ে যাব।

শনিবার তিনি ঢাকায় বাংলাদশে প্রেস কাউন্সিল মিলনায়তনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মদিন উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট অয়োজিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলনে।

খালিদ বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান ও বাংলাদেশ- দু’টি দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছেন; স্বাধীন বাংলাদেশের স্থপতি ও জনক- বঙ্গবন্ধু ছাড়া পৃথিবীর দ্বিতীয় কোন নেতার এমন নজির নেই। প্রতিমন্ত্রী বলেন, গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মধ্য দিয়ে স্বাধিকারের স্বপ্ন দেখিয়ে, নিরস্ত্র বাঙালিকে সশস্ত্র করে একটি দেশ স্বাধীন করেছেন - এমন নেতাও বিশ্বে দ্বিতীয়টি নেই। একাত্তরের ৭ মার্চের ভাষণে বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার আহবানকে পাকিস্তানি জান্তারা সর্বশক্তি দিয়ে প্রতিরোধ করার চেষ্টা সত্ত্বেও বঙ্গবন্ধু ২৬ মার্চ আনুষ্ঠানিক স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।
বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে রাজনৈতিক, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে বিশ্বের অন্য যেকোন নেতার চেয়ে অনেক বেশি চর্চা হয়েছে। যেটা গণতান্ত্রিক বিশ্বে দ্বিতীয় কোন নেতার ক্ষেত্রে হয়নি। এত চর্চার পরও বঙ্গবন্ধুপ্রেমীরা তাকে জেনে শেষ করতে পারেনি। সম্প্রতি বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক গোপন দলিল প্রকাশ হয়েছে। পাকিস্তানি গোয়েন্দা সংস্থাগুলো বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে তাদের সরকারের কাছে কী বার্তা দিত সেসব বিষয়ে।

খালিদ বলেন, একটি দেশের স্বাধীনতার জন্য বঙ্গবন্ধু পরিবারের যে আত্মত্যাগ এমন নজিরও দ্বিতীয়টি নেই। একাধারে স্বাধিকার আন্দোলন, শিক্ষা, সংস্কৃতি, ক্রীড়াসহ দেশ গঠনে বঙ্গবন্ধু পরিবারের যে অবদান ও ত্যাগ পৃথিবীর কোন রাষ্ট্রনায়কের ক্ষেত্রে তেমনটি ঘটেনি।

একটি দেশের স্বাধীনতা আন্দোলনের প্রস্তুতি হিসেবে ছাত্র সংগঠন গঠনও বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বের অন্যান্য স্বাধিকার আন্দোলনের নেতাদের থেকে আলাদা করে। জাতির পিতার ছাত্রলীগ গঠন করার প্রসঙ্গ টেনে খালিদ বলেন, ছাত্রলীগ ছিল জাতির পিতার মূল হাতিয়ার। শিক্ষিত নেতৃত্বকে রাজনীতিতে টানার জন্যই তিনি ছাত্রলীগ গঠন করেন। বঙ্গবন্ধু যখন ছয় দফা দিলেন, তখন তৎকালীন আওয়ামী লীগের নেতারা নিজেদের মত করে দফা বাড়াতে লাগলেন। কিন্তু; এই ছাত্রলীগই বঙ্গবন্ধুর ছয় দফাকে এক দফায় পরিণত করেছে। যার ধারাবাহিকতায় সত্তরের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে দেশ স্বাধীন করেন বঙ্গবন্ধু।

সংগঠনের সহ-সভাপতি রেদুয়ান খন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন আওয়ামী লীগ নেতা অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বলিষ্ঠ সংগীত শিল্পী রফিকুল আলম, একুশে পদক বিজয়ী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আমানুল হক, সাংস্কৃতকি ব্যক্তিত্ব রোকেয়া প্রাচী, সাংবাদকি মানিক লাল ঘোষ এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক অরুন সরকার রানা।

পিএনএস/মোঃ শ্যামল ইসলাম রাসেল

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন