শ্রমিক দল পুনর্গঠনের তোড়জোড়

  26-05-2019 09:17AM


পিএনএস ডেস্ক: জাতীয়তাবাদী শ্রমিক দল পুনর্গঠন নিয়ে তোড়জোড় চলছে। দেশের রাজনীতিতে সার্বিকভাবে এখন একটি ক্রান্তিকাল চলছে। এমন অবস্থায় বিএনপির রাজনীতিতে শ্রমিক দলের ভূমিকা খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে। আর সেজন্য শ্রমিক দলকে করতে হবে আরো শক্তিশালী ও গতিশীল। মূলত এসব দিক সামনে রেখেই এ উদ্যোগ গ্রহণ করা করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী সেপ্টেম্বরে কাউন্সিলের মাধ্যমেই নতুন করে গঠিত হতে পারে শ্রমিক দলের নতুন কমিটি।

শ্রমিক দল পুনর্গঠন নিয়ে সংগঠনটির নেতাদের সাথে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে স্কাইপিতে কথা বলেছেন বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান। দলীয় সূত্রে জানা যায়, গত ১৪ মে তাদের মধ্যে কথা হয়। সূত্রটি আরো জানায়, বৈঠকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির শ্রমবিষয়ক সম্পাদক নাজিম উদ্দিন, সহ-শ্রমবিষয়ক সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, ফিরোজ-উজ-জামান মামুন, শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আনোয়ার হোসেন, সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম খান নাসিম, কেন্দ্রীয় নেতা আবুল খায়ের খাজা।

বৈঠকের বিষয়ে জানতে চাইলে হুমায়ুন কবির খান বলেন, ১৪ মে তারেক রহমান শ্রমিক দলের নেতৃবৃন্দ ও আমাদের সাথে স্কাইপিতে কথা বলেছেন। তিনি শ্রমিক দলকে শক্তিশালী করার জন্য তার পরিকল্পনা আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এ ছাড়া তিনি শ্রমিক দল নিয়ে আমাদের পরিকল্পনা জানতে চেয়েছেন।

হুমায়ুন কবির খান আরো জানান, শ্রমিক দল কেন্দ্রীয় কমিটি আগামী সেপ্টেম্বরে কাউন্সিল করার সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। এ সময় তারেক রহমান শ্রমিক দলের কেন্দ্রীয় নেতাদের উদ্দেশে বলেন, এটা চূড়ান্ত কিছু নয়। সময়টা আরো সামনে নিয়ে আসতে পারেন।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালের ১৯-২০ এপ্রিল নির্বাচন দেখিয়ে সাবজেক্ট কমিটির চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান আনোয়ার হোসাইনকে সভাপতি ও নুরুল ইসলাম খান নাসিমকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৪ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির তালিকা ওই বছরের ১৬ সেপ্টেম্বর শ্রম পরিচালকের দফতরে দাখিল করেন।

পরে আনোয়ার-নাসিম কমিটির বিরুদ্ধে বিদ্যমান গঠনতন্ত্রের ১২নং অনুচ্ছেদের বিধান অনুসরণ করা হয়নি বলে শ্রমিক দলের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল খায়ের খাজা অভিযোগ উত্থাপন করেন। একইভাবে ২০১৪ সালের ৭ জুন বিশেষ সম্মেলন ও নির্বাচন দেখিয়ে এ এম নাজিম উদ্দিনকে সভাপতি ও আবুল খায়ের খাজাকে সাধারণ সম্পাদক করে ওই বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর শ্রম পরিচালকের দফতরে আরেকটি কমিটির তালিকা দাখিল করা হয়। পরে উল্লেখিত দুইটি কমিটি শ্রমিক দলের গঠনতন্ত্র ও হাইকোর্ট দাখিল করা রিট পিটিশনের রায়ের আলোকে গোপন ব্যালটে স্বচ্ছ, অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক হয়নি বলে শ্রম পরিচালক মতামত প্রদান করেন। ওই দু’টি কমিটি শ্রম পরিচালকের অনুমোদন না পাওয়ায় ২০১১ সালের ৬ জুন গঠিত নজরুল ইসলাম খান ও জাফরুল হাসানের কমিটি শ্রম অধিদফতরে বৈধ কমিটি হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।

পিএনএস/আনোয়ার

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন