​আন্দোলন শুরু, গণতন্ত্রকে মুক্ত করেই ঘরে ফিরবো: দুদু

  20-07-2019 01:19PM

পিএনএস ডেস্ক: কৃষক দলের আহবায়ক ও বিএনপি’র ভাইস-চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু বলেছেন, ‘আন্দোলন শুরু হয়ে গেছে, নেত্রীকে মুক্ত করে গণতন্ত্রকে মুক্ত করে মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে তবেই আমরা ঘরে ফিরবো ইনশাল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘ইতিমধ্যে বিএনপি রাস্তায় নেমেছে এই রাস্তার আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য বরিশালে আমরা সমাবেশ করেছি আজ সমাবেশ হবে চট্টগ্রামে, ২৫ তারিখে হবে খুলনায়, পর্যায় ক্রমে সব বিভাগে হবে। তারপরে সব জেলাতে সমাবেশ করা হবে।’

শনিবার (২০ জুলাই) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে জিয়া পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির উদ্যোগে ‘তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি’র চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে প্রতীকী অনশনে’ তিনি এসব কথা বলেন।

শামসুজ্জামান দুদু বলেন, ‘ভাবতে কষ্ট হয়, যে নেত্রী বাংলাদেশের গণতন্ত্রের এরিস্টটল, বাংলাদেশের কৃষক শ্রমিক মেহনতি মানুষের সবচেয়ে জনপ্রিয় নেত্রী। যিনি বাংলাদেশের গণমানুষের কাজ করার জন্য অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। নারী শিক্ষা ক্ষেত্রকে অনন্য বিশিষ্ট স্থানে নিয়ে এসেছেন। যিনি এদেশের মেহনতী মানুষ কৃষকদের জন্য কাজ করেছেন। ক্ষমতার বাইরে থেকেও এবং ক্ষমতায় গিয়েও সেই দেশনেত্রীকে বন্দি করে রেখেছে একটি মিথ্যা বানোয়াট মামলায় তথা কথিত বিচারের নামে একটি ভয়ঙ্কর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে।’

ছাত্রদলের সাবেক এই সভাপতি বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার জন্য এবং এই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের অত্যাচার যারা সহ্য করেছেন তাদের জন্য ইতিমধ্যে বিএনপি রাস্তায় নেমেছে। এই রাস্তার আন্দোলনকে বেগবান করার জন্য বরিশালে আমরা সমাবেশ করেছি। আজ সমাবেশ হবে চট্টগ্রামে। ২৫ তারিখে হবে খুলনায়, পর্যায় ক্রমে সব বিভাগে হবে। তারপরে সব জেলাতে সমাবেশ করা হবে। এই আন্দোলন শুরু হয়েছে নেত্রীকে মুক্ত করে গণতন্ত্রকে মুক্ত করতে, মানুষের অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে আমরা ঘরে ফিরবো, ইনশাল্লাহ।’

তিনি বলেন, ‘পেটের তাগিদে শিক্ষকরা রাস্তায়, সাংবাদিকদের চাকরির নিশ্চয়তা নেই, শ্রমিকের শ্রমের মূল্য নাই। আদালতে গিয়ে বিচারকের সামনে সন্ত্রাসীরা খুন করছে। এই দেশে পুলিশ প্রশাসন বিচার ব্যবস্থা আইনশৃঙ্খলা সবকিছু ভেঙে পড়েছে। এই দেশে স্বাভাবিক কোনো নির্বাচন হয় না। জাতীয় সংসদ নির্বাচন, পৌরসভা, উপজেলাসহ কোনও নির্বাচনই স্বাভাবিকভাবে হয় না। বাংলাদেশের পরিবর্তনের জন্য যে নির্বাচন সেই নির্বাচন ব্যবস্থাকে ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে ফেলেছে। এটা যদি থেকে যায়- বাংলাদেশে মুক্তিযুদ্ধ করে স্বাধীন হয়েছিল এটা আমরা ভুলে যাব। মুক্তিযুদ্ধে ৩০ লক্ষ শহীদ হয়েছিল ২ লক্ষ মা-বোন অভ্র হারিয়েছিল এটা মিথ্যা হয়ে যাবে যদি এই সরকার ক্ষমতায় থাকে।’

বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজ দেশে ধর্ষণের যেন উৎসবে পরিণত হয়েছে। শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত আমার মা-বোনেরা কেউ রেহাই পাচ্ছে না। ঘর থেকে বের হতে পারছে না নিরাপত্তার অভাবে। এই দেশে মহিলা পরিষদ যেগুলো সংগঠন আছে এক সময় তারা একটা ধর্ষণের জন্য সারা দেশ তোলপাড় করেছে কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো এখন তাদেরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’

এ সময় তিনি সবাইকে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘আসুন শুধু দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির জন্য নয়, এই দেশে একটি সুষ্ঠু পরিবেশ ফিরিয়ে আনার জন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য মানুষের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য রাস্তায় নামি।’

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান কবির মুরাদের সভাপতিত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব আব্দুল্লাহ হিল মাসুদের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুল কুদ্দুস, সংগঠনের মহাসচিব ড. মমতাজ হোসেন, ভাইস-চেয়ারম্যান মো. শফিকুল ইসলাম, কৃষক দলের সদস্য লায়ন মিয়া মো. আনোয়ার, কে এম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন