টোকিও দূতাবাসে জাতীয় শোক দিবস পালিত

  16-08-2019 01:59AM



পিএনএস ডেস্ক: যথাযথ মর্যাদা আর ভাবগাম্ভীর্যের মাধ্যমে স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎবার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালন করেছে জাপানের টোকিওতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস।

বৃহস্পতিবার সকালে দূতাবাস প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করার মধ্যে দিয়ে শোক দিবসের প্রথম পর্বের আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত করেন জাপানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। এ সময় বঙ্গবন্ধু ও তার পরিবারের সকল শহীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা ও আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া করা হয়। দোয়ায় দূতাবাসের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং প্রবাসী বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।

দূতাবাসের বঙ্গবন্ধু মিলনায়তনে অনুষ্ঠানের দ্বিতীয় পর্বের শুরুতে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান রাষ্ট্রদূত। পরে আগত অতিথি, জাপান প্রবাসী এবং জাপান আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ ফুলেল শ্রদ্ধা জানান। এছাড়া অনুষ্ঠানে দিবসটি উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়।

রাষ্ট্রদূত তার বক্তব্যের শুরুতে জাতির পিতার আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সোনার বাংলা গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।

রাষ্ট্রদূত বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলেন বাঙালি জাতির মুক্তির স্বপ্নদ্রষ্টা- যার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে ১৯৭১ সালে সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশকে স্বাধীন করেছিল। তিনিই যুদ্ধপরবর্তী বাংলাদেশ নির্মাণে আসাধারণ সাফল্য অর্জন করেছিলেন, দ্রুততম সময়ে জাপানসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের স্বীকৃতি আদায় ও তাদের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, আজ বঙ্গবন্ধু আমাদের মাঝে নেই, কিন্তু তার স্বপ্ন, আদর্শ ও নির্দেশনা আজও আমাদের সঠিক পথ দেখায়। আর তার দেখানো পথ ধরেই তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের অর্থনৈতিক মুক্তির পথে এগিয়ে চলেছেন। রাষ্ট্রদূত জাপান প্রবাসী সবাইকে প্রধানমন্ত্রীর এই অগ্রযাত্রার সক্রিয় অংশীদার হওয়ার আহ্বান জানান।

আলোচনাপর্বে প্রবাসী নেতৃবৃন্দ জাতীয় শোক দিবসের তাৎপর্য বিশ্লেষণ করেন এবং এই শোককে শক্তিতে রূপান্তর করে আরও উদ্যম ও দেশপ্রেম নিয়ে দেশের উন্নয়নে অধিকতর অবদান রাখার অঙ্গীকার করেন। আলোচকগণ বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও রায় কার্যকর করার জন্য সরকার ও প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানান এবং পলাতক খুনিদের দেশে এনে রায় বাস্তবায়ন করার আহ্বান জানান। তারা একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলার বিচার কাজেরও দ্রুত নিস্পত্তি ও রায় কার্যকরের দাবি করেন।

এছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা ও জাতির পিতার সংগ্রাম আর জীবন-কর্ম নিয়ে ভিডিও তথ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়। অনুষ্ঠানে আগত অতিথিদের দেশীয় খাবার দিয়ে আপ্যায়ন করা হয়।

পিএনএস/ হাফিজুল ইসলাম

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন