সুষ্ঠু রাজনীতির জন্য ছাত্রদের এগিয়ে আসতে হবে

  02-12-2019 11:22PM



পিএনএস ডেস্ক: দেশে নমরুদের শাসন ব্যবস্থা চালু হয়েছে বলে সরকারের কোনো জবাবদিহিতা নেই মন্তব্য করে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব বলেছেন, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, আওয়ামী লীগসহ সবার রাজনীতি পচে গেছে। মলম লাগানোর জায়গাটাও নেই। তাই দেশে সুষ্ঠু রাজনীতি ফিরিয়ে আনতে ছাত্রদের এগিয়ে আসতে হবে।

সোমবার (২ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) আয়োজিত বাংলাদেশের ছাত্ররাজনীতি ও প্রাসঙ্গিক ভাবনা শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।

রব বলেন, এ দেশে ছাত্র রাজনীতি থাকবে। ছাত্র রাজনীতিকে রাখার জন্য এ স্বৈরাচারী সরকারকে বাংলাদেশের মাটি থেকে বিদায় করতে হবে। ছাত্র আন্দোলন থেকে বাংলাদেশ সৃষ্টি হয়েছে। তাহলে ছাত্ররাজনীতি কী করে বন্ধ হবে এ দেশে? যারা ছাত্র রাজনীতি বন্ধ করতে চেয়েছে তাদের অত্যন্ত নিষ্ঠুর এবং নির্মমভাবে ক্ষমতা থেকে বিদায় নিতে হয়েছে।

বাংলাদেশ ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, ছাত্ররাজনীতি এখন ওপর থেকে নির্ধারণ হচ্ছে, ফলে মূল বিষয় হারিয়ে যাচ্ছে। ছাত্রদের হলে সিট পাওয়া, বেতন বৃদ্ধি এসব বিষয় চাপা পড়ে যাচ্ছে। ছাত্র সংগঠনের সাংগঠনিক নিয়ন্ত্রণ দলীয় প্রধানের নিয়ন্ত্রণমুক্ত করতে হবে। তবেই ছাত্র সংগঠনগুলো স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারবে।

নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ছাত্র রাজনীতি জাতীয় রাজনীতির একটি উজ্জ্বল জায়গা। এখন এটিকে দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি বলা হচ্ছে। তবে প্রশ্ন হচ্ছে দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি কোনটি? অন্যায় অত্যাচারের বিরুদ্ধে ছাত্ররা কথা বললে সেটা কি দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি হবে? ৩০ ডিসেম্বরের যে ভোট ডাকাতি হলো, এর বিরুদ্ধে ছাত্ররা প্রতিবাদ করে হরতাল পালন করলে কি তাদের দুর্বৃত্ত বলা হতো? দুর্বৃত্তায়ন হচ্ছে টেন্ডারবাজি, চাঁদাবাজি, সন্ত্রাসী এসব। ছাত্ররা যাতে এসবের সঙ্গে যুক্ত না হয় সে জন্য বিবেক জাগ্রত রাখার কাজ করে যেতে হবে।

ঢাকসু ভিপি নূরুল হক নূর বলেন, একসময় ছাত্ররাজনীতির গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা ছিল, এটা নিয়ে প্রশ্ন নেই, আবার কিছুটা প্রশ্ন রয়েছেও। তিয়াত্তরের ডাকসু নির্বাচনের সময়ও ভোট ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এখন ছাত্ররাজনীতির যে অপরাজনীতি বলা হচ্ছে, খেয়াল করলে দেখবেন গত কয়েক দশক ধরে মূলত দুটি ছাত্র সংগঠন এসব অপকর্মের সঙ্গে জড়িত। ছাত্রলীগ আর ছাত্রদল, এর সাথে ছাত্র শিবিরও ছিল।

সুজন সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার বলেন, আমরা লাঠিয়াল রাজনীতি চাই না। বিদ্যমান আইন অনুযায়ীই লেজুড়বৃত্তির ছাত্র, শিক্ষক ও শ্রমিক রাজনীতি বেআইনি। এই লাঠিয়াল বাহিনী ছাত্ররাজনীতির নামে আমাদের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি ও অন্যান্য অপকর্মের তাণ্ডব চালিয়ে যাচ্ছে।

বৈঠকে অন্যান্যদের মাঝে কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সভাপতি মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম, সাংবাদিক আবু সাঈদ খান, সিপিবির কেন্দীয় নেতা রুহিন হোসেন প্রিন্স প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

পিএনএস/ হাফিজ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন