মুজিববর্ষ উদযাপন নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না: প্রধানমন্ত্রী

  19-02-2020 11:29AM

পিএনএস ডেস্ক: মুজিববর্ষে প্রত্যেক নির্বাচনী এলাকায় কর্মসূচি নিতে হবে জানিয়ে দলীয় সংসদ সদস্যদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, মুজিববর্ষ উদযাপন নিয়ে কোনোরকম বাড়াবাড়ি করা যাবে না। একইসঙ্গে তিনি বঙ্গবন্ধু মেমোরিয়াল ট্রাস্টের বিনা অনুমতিতে কোথাও বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল যাতে তৈরি না করা হয় সে ব্যাপারেও নির্দেশনা দিয়েছেন।

মঙ্গলবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) রাতে সংসদ ভবনে সরকারি দলের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত আওয়ামী লীগের সংসদীয় দলের সভায় তিনি এই নির্দেশনা দেন বলে বৈঠকে উপস্থিত একাধিক সংসদ সদস্য জানিয়েছেন।

এসময় প্রধানমন্ত্রী সংসদ অধিবেশনে মন্ত্রী ও সিনিয়র সংসদ সদস্যদের অনুপস্থিতি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন। যারা নিয়মিত অধিবেশনে আসেন না তাদের সিট পেছনে সরিয়ে দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তিনি।

সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, মুজিববর্ষের অনুষ্ঠান নিয়ে কেউ যেন অতি উৎসাহী হয়ে লম্ফ-ঝম্ফ না করেন। বঙ্গবন্ধু হত্যার পর কি পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছিল সে বিষয়টি সকলকে মনে রাখতে হবে। তখন বঙ্গবন্ধুর লাশ নেওয়ার কাউকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তাই সকল বিভেদ ভুলে দলকে সংগঠিত করতে হবে।

দলীয় এমপিদের উদ্দেশে শেখ হাসিনা বলেন, মুজিববর্ষ উপলক্ষে আগামী ২২ ও ২৩ মার্চ সংসদের বিশেষ অধিবেশন বসবে। সেখানে যারা বক্তব্য রাখতে চান, আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়ে তা স্পিকারকে অবহিত করতে হবে। বঙ্গবন্ধুর জন্মদিন উপলক্ষে আগামী ১৯ মার্চ সংসদ চত্বরে শিশুমেলা অনুষ্ঠিত হবে। সেই মেলায় সকল এমপিদের উপস্থিত হওয়ার নির্দেশনাও দেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রী জানান, মুজিব বর্ষের অনুষ্ঠানে ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জী, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভুটানের রাজাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। আরো জানান, মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ করব। এটি যাতে পৃথিবীর সকল দেশের সংসদের স্পিকারের নিকট শুভেচ্ছা স্মারক হিসেবে পৌঁছানো যায়, সে জন্য ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

একাধিক সংসদ সদস্য নিশ্চিত করেছেন সংসদ নেতা চিফ হুইপ ও হুইপদের উদ্দেশ্যে সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেন, সংসদ অধিবেশনে এমপি-মন্ত্রীদের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে হবে। এ জন্য চিফ হুইপ ও হুইপদের যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করতে হবে। বিশেষ করে তার (প্রধানমন্ত্রী) পেছনের চেয়ারগুলো যেন খালি না দেখায়। সংসদে উপস্থিত থাকতে পারেন না এমন এমপিদের আসন দূরে দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনাও দেন তিনি।

একঘণ্টার বেশি সময় ধরে চলা এই বৈঠকে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, সংসদ সদস্য শামীম ওসমান, গাজী শাহনেওয়াজ, মাজহারুল হক প্রধান, আ স ম ফিরোজ, ছোট মনির, মৃনাল কান্তি দাস প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

পিএনএস/এএ

@PNSNews24.com

আপনার মন্তব্য প্রকাশ করুন